ঢাকা ৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২০
রাজশাহী ব্যুরো :
রাজশাহী বিভাগের ৮ টি জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৬০ জন। আর মাত্র একদিনে নতুন করে আরো ৩১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েচে ২ জনের। এ পর্যন্ত বিভাগে করোনায় মারা গেল ১০০ জন। বিভাগে মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৬০ জনে। ১ দিনে শনাক্ত হয়েছে ৩১১ জন। এদিন নতুন করে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচাইতে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে বগুড়া জেলায়। এ জেলায় মারা গেছে ৬২ জন। তারপরের অবস্থানের রাজশাহী জেলায় মারা গেছে ১২ জন ও সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলায় ৯ জন করে মারা গেছে।
গত দিনের তুলনায় এদিন শেষ ২৪ ঘন্টায় বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত সবচাইতে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায় ৩ হাজার ৪৪৬ জনে। বগুড়া, রাজশাহী, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও পাবনা জেলায় বেশি করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। রাজশাহী বিভাগে সোমবার পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭হাজার ৪৬০ জন ও মারা গেছে ১০০ জন। বগুড়ায় প্রথম দিক থেকেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। এখন এর হার আরো বাড়ছে। তারপরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী জেলা। এ জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২৭৮ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। এ জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৯০ জন। আর বিভাগের সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১০১ জন।
করোনায় এ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। এরমধ্যে রাজশাহীতে ১২ জন, নওগাঁয় ৭ জন, জয়পুরহাট ০ জন, নাটোরে ১ জন, বগুড়ায় ৬১ জন, সিরাজগঞ্জ ৯ জন ও পাবনায় ৯ জন করোনা রোগী মারা গেছে।
করোনা আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৬০ জনের মধ্যে রাজশাহী ১২৭৮ জন, নওগাঁ ৫৮৪ জন, নাটোর ২৫৩ জন, জয়পুরহাট ৫১১ জন, সিরাজগঞ্জ ৬৯০ জন ও পাবনা জেলায় ৫৯৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ২৩৫৩ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬২১ জন।
আইশোলেসন থেকে ছাড় পেয়েছে ৮০৩ জন রোগী। আইশোলেসনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৫৩৮ জন। বিভাগের ৮টি জেলায় মোট ৪৭ হাজার ৫৮০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে শারীরিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও অপ্রয়োজনের ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সাথে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। প্রত্যেককেই সচেতন হওয়ার কোন বিকল্প নেই। যতটুকু সম্ভব জনাকীর্ন এলাকায় এড়িয়ে চলতে হবে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST