এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠির ভীমরুলীর পেয়ারা ও সবজির ভাসমান হাট এ বছর করোনার প্রভাবে জমেনি

প্রকাশিত: ১১:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০

এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠির ভীমরুলীর পেয়ারা ও সবজির ভাসমান হাট এ বছর করোনার প্রভাবে জমেনি

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি:

এশিয়া মহাদেশের ঝালকাঠির ভীমরুলীতে পেয়ারা ও দেশীয় সবজির ঐতিহ্য বাহী ভাসমান নৌকার হাট করোনায় এ বছর জমে উঠেনি।
এশিয়ার সব থেকে বড় ভাসমান পেয়ারা ও সবজি বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও ব্যতিক্রম ঘটেছে এবছর কোভিড ১৯ এর প্রভাবে। পর্যটকদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে পর্যটক আগমনে।
থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে না পেরে যারা আফসোস করেন তারা, ঝালকাঠির ভিমরুলি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আটঘর-কুড়িয়ানার ভাসমান বাজারে ঘুরে আসতে পারেন। খালের মোহনায় হওয়ায় তিনদিক থেকে শত শত নৌকা আসছে এখানে। আটঘর-কুড়িয়ানায় প্রতি হাটবারে বেচা-কেনা হলেও ভিমরুলিতে পেয়ারার মৌসুমে প্রতিদিনই বসে ভাসমান বাজার। আর ভরা মৌসুমে প্রতিদিন শত শত মণ পেয়ারা বেচা-কেনা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা আসেন। এখান থেকে পেয়ারা কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি করেন তারা। ঝালকাঠি জেলার ভিমরুলি আর পিরোজপুর জেলার আটঘর-কুড়িয়ানা এলাকাজুড়ে রয়েছে দেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাগান। এ এলাকায় পেয়ারা, আমড়া, লেবু, কাঁচা কলা বোম্বাই মরিচসহ বিভিন্ন দেশীয় ফলের উৎপাদনও হয়। ফলে দক্ষিণের এ এলাকাগুলোর হাট-বাজার বছরজুড়েই থাকে জমজমাট। তবে বাজারগুলো সবচেয়ে বেশি জমে ওঠে পেয়ারার মৌসুমে। এসব এলাকার মূল হাট-বাজারগুলো ভাসমান হওয়ায় নৌকায় নৌকায় চলে বেচা-কেনা।

কৃষি পণ্যের অভয়ারণ্য খ্যাত ভীমরুলী, ডুমরিয়া, খেজুরিয়া, বাউকাঠি, শতদশকাঠী, কাফুরকাঠি, বেতরা, হিমানন্দকাঠী, পোষন্ডা, সাওরাকাঠি, রমজানকাঠি, কাচাবালিয়া, নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়য়ানা ইউনিয়নের সকল গ্রামের কৃষকরা এই ভাসমান হাটে কাঁচামাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এলাকাটি সবজি জোন হিসেবে ঘোষনার দাবী এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে রমজানকাঠি কৃষি কলেজের বিভাগীয় প্রধান কৃষিবিদ ড. চিত্ত রঞ্জন সরকার বলেন, “এছর আম্ফানের প্রভাবে পেয়ারা ও আমড়ার ফলন কম হয়েছে। তারপর কোভিড ১৯ এ ঘর বন্ধী মানুষ।এ দ’ কারনে কৃষকরা এবছর মারাত্মক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।”
ডুমরিয়ার পেয়ারা ও আমড়া চাষী পীযুষ কান্তি মন্ডল জানান, “পেয়ারার বাগান কেউ কিনতে চাচ্ছেন না। অর্ধেক দাম‌ও বলছে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে এ বছর।”


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest