বরিশালে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ, অর্থ জরিমানা।

প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০

বরিশালে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অবৈধ ড্রেজার উচ্ছেদ, অর্থ জরিমানা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নস্থ ২ নং ওয়ার্ডে বরিশাল-বাউফল মহাসড়কের পাশে একটি খননকৃত পুকুর থেকে আত্মঘাতী ড্রেজার ড্রাম পাইপ (ড্রেজার মেশিন) এর মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল জহিরুল হাং ওরফে জহির।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মহাসড়কের পাশে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন এর ফলে মহাসড়কটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যার ফলে অত্র অঞ্চলের হাজারো মানুষের চলাচল ব্যাহত হতে পারে। দিনারের পুল এলাকার বাসিন্দা জহির হাওলাদার উক্ত ড্রেজারের মালিক। তাই সংবাদকর্মীরা অবৈধ ড্রেজারের ব্যাপারে জানতে চাইলে জহির হাওলাদার সংবাদকর্মীদের পরিচয় পত্র দেখতে চায় এবং সংবাদকর্মীদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে কোন সাক্ষাৎকার না দিয়ে বলে যে, পত্রিকায় লিখলে আমার কিছু হবে না আমি যাদের মাটি কাটাই তাদের ব্যক্তিগত পুকুর। এখানে সরকারের কোন সম্পত্তি নেই, হস্তক্ষেপ নাই আর সরকারের জমিও এটা না বলে মোটরসাইকেল স্টার্ট করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সংবাদকর্মীরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত ও আইন সম্পর্কে জানতে সহকারি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান এর কাছে সাক্ষাতকার আনতে গেলে তিনি বলেন এ রকমের ড্রেজার অবৈধ তাই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিছুক্ষণ পরেই তিনি সংবাদকর্মীদের তথ্যের সত্যতা যাচাই পূর্বক সেখানে ভ্রাম্যমাণ অভিজান পরিচালনা করেন। সেখানে উপস্থিত জনতার মাঝে পুকুর মালিক ও এই বালু উত্তোলনের মূল হোতা লিটন হাওলাদার পিতাঃ মোঃ রেকায়েত হাং কে ১০,০০০/- টাকা এবং ড্রেজার মালিক জহিরকে ১০,০০০/- টাকা জরিমানা করেন। সাথে সাথে সকল পাইপ সমূহকে ধবংস করার নির্দেশ দেন এবং সন্ধ্যা ৬ঃ০০ টার মধ্যে আত্মঘাতী ড্রেজার টি পুকুর থেকে অন্যত্র না সরালে জব্দ করা হবে বলে জানান। এসিল্যান্ডের নির্দেশের ভিত্তিতে বন্দর থানা পুলিশের সহযোগীতায় হাতুড়ি ও শাবল এর মাধ্যমে পাইপগুলো ধ্বংস করেন। তবে ঘটনাস্থলে ড্রেজার মালিক জহিরকে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।অভিযান চলাকালীন সময়ে তৎক্ষণাৎ লিটন হাওলাদার জরিমানার অর্থ প্রদান করতে না পারায় তাকে এসিল্যান্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সহকারি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের এই অভিযান চলমান আছে ও অব্যাহত থাকবে এবং নির্বাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদেশক্রমে আমরা এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আছি। সর্বশেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অবৈধ কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারটি স্থানীয় ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখা হয়।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest