তালতলী কৃষি অফিসারের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে কৃষক দের ভাগ্য!

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২০

তালতলী কৃষি অফিসারের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে কৃষক দের ভাগ্য!

মোঃ হাইরাজ বরগুনা প্রতিনিধি।।

বরগুনার তালতলীর গ্রাম জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ, এ যেন বদলে যাওয়া এক তালতলী। যেখানে বছরে একটা ফসল ফলিয়ে তুলতে কৃষকদের কষ্ট হতো, এখন তারা বছরে তিনটি ফসল চাষাবাদ নিয়ে আশাবাদী।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আউশে ভরা ফসলের মাঠে কৃষকের স্বস্তির নিঃশ্বাস। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আরিফুর রহমানের হাত ধরে বদলে যাচ্ছে কৃষকদের ভাগ্য। ফুটছে কৃষকদের মুখে হাসি।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামের কৃষক আফজাল হাওলাদার, বলেন আগে মোগো ক্ষ্যাতে (জমিতে) একফির (একবার) ধান অইতে (হতো)। কিন্তু এবার কৃষি অফিসারের দিক নির্দেশনায় ও আল্লাহর ইচ্ছায়, বছরে তিন ফির (বার) ফসল ফলাইতে পারমু, মোগো জমি আর খাইল্যা (খালী) থাকবেনা।

বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া গ্রামের সবজি চাষি শাহাদাত হোসেন বলেন, আগে বছরে একবার সবজি চাষ করতাম। এবার উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুর রহমান স্যার সরেজমিনে এসে,
আমাদের পরামর্শ ও দিয়ে বারোমাস সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। আশা করছি আমাদের এখানে ১শত ২৫ একর জমিতে বছরে সবজি চাষে খরচ বাদে দের কোটি টাকার উপরে আয় করতে পারবো। আমারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি উপজেলা কৃষি অফিসারের প্রতি সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য।

কেমন করে এলাকার এক ফসলি জমিকে,
তিন ফসলি করছেন? এমন প্রশ্নে কৃষি অফিসার আরিফুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যখন মন্দা তখনি কৃষক বান্ধব সরকারের নির্দেশে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে সারাদেশের মত তালতলী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগও কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করে।

ভবিষ্যতের দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় কার্যকরী সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করি। যেমন গ্রামে গ্রামে কৃষক গ্রুপ তৈরি করে সমস্যা মোকাবেলা ও সমন্বিত চাষাবাদের ব্যবস্থা করা। বিনা মূল্যে কৃষকদের বিভিন্ন সবজির বীজ, ফেসমাস্ক এবং হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বিতরণ ও কমিটি গঠন করে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের নিয়ে সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থাকা নিশ্চিত করা। লবণাক্ত সহনশীল বিভিন্ন ফসলের আধুনিক জাতের সম্প্রসারণ, সরকারের কৃষি প্রণোদনা ও বীজ সহায়তার বীজের সঠিক বাস্তবায়ন এবং ডিলারদের নিকট পর্যাপ্ত বীজ থাকা ও সঠিক মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করণ।

নিচু ও অধিক লবণাক্ত এলাকায় সর্জন পদ্ধতিতে (কান্দি তৈরি) উচ্চ মূল্যের সবজি চাষ ও ফল বাগান করে চাষের আওতায় নিয়ে আসা। সেচ সমস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ে কয়েকটি এলাকায় দলভুক্ত কৃষকদের জন্য বারিড পাইপ বসিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা। টেকসই নিরাপদ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সম্যক প্রশিক্ষণ প্রদান। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে খরচ কমানো এবং শ্রমিক সংকট সমস্যার সমাধান করা।

এ সকল কার্যক্রমের কারণে আজকে অনাবাদি জমিতে দেখা যাচ্ছে লবণাক্ত সহনশীল উফশি জাতের আউশ ধানে ভর্তি। বাড়ির আঙিনায় সবজি পুষ্টি বাগান । একদিন কেটে যাবে করোনা ভাইরাসের এই দুর্দিন, আসবে ফিরে সোনালী ফসলে মাঠ ভরা শুভদিন। এ উপজেলার কৃষকরা সারাজীবন মনে রাখবে কৃষক বান্ধব এ সরকারের কথা।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest