ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের হায়দ্রাবাদে পশু চিকিৎসককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার আসামির সবাই ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়েছে। যে স্থান থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে আটক চারজনকে ‘তদন্তের স্বার্থে’ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল সাদনগর মহাসড়কে তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে দুপক্ষের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে গুলিতে নিহত হয় আসামিরা। গত ২৭ নভেম্বর তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে পাওয়া যায় ২৭ বছর বয়সী এক নারী পশু চিকিৎসকের পুড়ে যাওয়া মরদেহ। তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর স্কুটারের চাকা ফুটো করে দিয়েছিল ঘাতকরা। চাকা ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই স্কুটার। তারপর চারজন মিলে ধর্ষণ করেছিল তাকে। এরপর খুন করে পেট্রোল-ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছিল তরুণীর মরদেহ। ২৯ নভেম্বর অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করে তেলেঙ্গানা পুলিশ। শুক্রবার হায়দ্রাবাদের পুলিশ কমিনশনার দাবি করেছেন, অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চার অভিযুক্ত নিহত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ রেড্ডি বলেছেন, ‘আমরা অ্যাম্বুলেন্স ডেকেছিলাম। তবে কোনও রকমের চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর আগেই তাদের মৃত্যু হয়’। গত সপ্তাহে ভারতে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। ঝাড়খণ্ডে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন এক নারী আইনজীবী। ৫ ডিসেম্বর নিজের দায়ের করা ধর্ষণ মামলার শুনানিতে আদালতে যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও-এর ওই নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। এছাড়া ধর্ষণের পর রাজস্থানে ছয় বছরের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার এসব ঘটনায় ফুঁসছে ভারত। দোষীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও কলকাতাসহ বিভিন্ন শহর। ক্ষোভের ঝড় উঠেছে দেশটির পার্লামেন্টেও। বিক্ষোভকারীরা যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দ্রুততম বিচার ও সাজার মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST