দিনাজপুরের খানসামা প্রেসক্লাবে ভুক্তভুগীর সংবাদ সম্মেলন।

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯

দিনাজপুরের খানসামা প্রেসক্লাবে ভুক্তভুগীর সংবাদ সম্মেলন।

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় জমাজমি সংক্রান্ত বিবাদে একের পর এক মামলা পড়েন ১, মোঃ আব্দুল খালেক পিতা মৃত মকবুল হোসেন, ২, মোঃ শাহজাহান হোসেন পিতা মৃত আঃ সাত্তার সর্ব সাং গোয়ালডিহি, উপজেলা খানসামা, দিনাজপুরে মামলায় নির্যাতিত দিশাহারা হয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন অসহায় জনের পক্ষে মোঃ ওবাইদুর রহমান।

তিনি বলেন আমাদের গোয়ালডিহি মৌজার ৪৫ বছরের ভোগদখল ভুক্ত জমি মোঃ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী বদরুন্নেছা বন্যা পেশাগত দিক থেকে বন্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হওয়ার পরেও তাদের লালসার শিকার সাধারণ দিনমজুর অসহায় মানুষরা। একের পর এক মামলা, হামলা, গাছপালা কেটে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল। তার বক্তব্যে তিনি আরো বলেন বন্যা তার ভাড়াটিয়া প্রায় ২৫০ লোক নিয়ে এসে জমি জবর দখল করার চেষ্টা করেন। তার সাথে তিনি বলেন ১৮৫২ দাগের ১৩ শতক জমি তাদের পাওয়ার লোভ জাল দলিল সহ অসামাজিক ও আইন বহির্ভূত কাগজ পত্র তৈরি করে উক্ত জমি তাদের আয়ত্বে করার সব রকম সড়যন্ত্রে লিপ্ত মোঃ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী মোঃ বদরুন্নেছা বন্যা। এই জমিকে কেন্দ্র করে মোট নয়টি মামলার সৃষ্টি করেছেন তারা। ১ম মামলায় বাদি মোছাঃ বদরুন্নেছা বন্যা, মামলা নং ৯৫সি/ ১৯ আসামী সংখ্যা ১৩ জন। ২য় মামলায় বাদি এনামুল হক পিতা কফুর আলী মামলা নং ৯৫সি/১৯ আসামী সংখ্যা ৬ জন। ৩য় মামলার বাদী এনামুল হক মামলা নং ২১০পি ১৯ আসামী সংখ্যা ১২ জন। ৪, ৫ ও ৬ নং মামলায় বাদি সুরজাহান স্বামী ছকি উদ্দিন মামলা নং ১৪৪/১৪৫. আসামী সংখ্যা ১০ জন। ৫ মামলা নং ২১০পি/১৯ আসামি সংখ্যা ৯ জন। ৬ন ং মামলা নং ১৪৭/৪৪৮/৩২৪/৩৫৪/৩০৭/৪৩৬/৩৪ আসামী সংখ্যা ৬জন।৭ নং মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম পিতা বাহার উদ্দিন , খানসামা মামলা নং ০৫/৬৩ আসামী সংখ্যা ৮ জন। ৮ নং মামলার বাদী আনজু আরা স্বামী ছকি উদ্দিন, খানসামা মামলা নং ০১/৯৫ আসামী সংখ্যা ১৭জন ও ৯ নং মামলায় বাদি জহির উদ্দিন পিতা মৃত তুফান , মামলা নং খানসামা ০৩/৮৭ আসামী সংখ্যা ১১জন।

তিনি আরো বলেন এই সব মামলার ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করছেন এস আই ফিরোজকে তাকে দিয়ে একের পর এক গ্রেফতার ও হয়রানি করিয়েছেন জনতা ব্যাংকে কর্মরত ইব্রাহিম ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বন্যা। যদি সঠিক সময়ে অফিসার ইনচার্স খানসামা, সার্কেল এ এসপি বীরগঞ্জ ও পুলিশ সুপারের হত্যক্ষেপে আজকে আমরা বাড়ীতে ঘুমাতে পারছি। তবে এ বিষয়ে জনতা ব্যাকের কর্মকর্তা ইব্রাহিম ও তার স্ত্রী বদরুন্নেছা বন্যার সাথে কথা বললে তারা বলেন আমরা তাদের নির্যাতনের শিকার যা কিছু হচ্ছে তা নিজের আত্মরক্ষার জন্যে মাত্র। ১৮৫২ দাগের জমি আমাদের আমরা ভোগদখল করে আসতেছি। আসামীরা সংঘ বদ্ধ ভাবে আমাদের শান্তি ভঙ্গ করে আসছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest