জলাশয় রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী |

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০

জলাশয় রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী |

মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান |
ঢাকা |
জলাশয় রক্ষায় এবং পানি ও মাছ যাতে অবাধে চলাফেরা করতে পারে সেই লক্ষ্যে কিছু দূর পরপর কালভার্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে দুপুরে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলাশয় বা জলমগ্ন এলাকায় যেসব সড়কের কাজ করা হবে, সেখানে অনেক বেশি কালভার্ট রাখতে হবে। জলজ প্রাণীর স্বাধীনতাকে আমরা সম্মান করি। তাই পানি যাতে অবাধে চলাচল করতে পারে, মাছ অবাধে চলাফেরা করতে পারে; সেজ্যে কিছু দূর পরপর কালভার্ট করার নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক কিছু খাল আছে, সেসব খাল তো রাখবোই। আরও বাড়তি বা কিছু দূর পরপর একটা করে কালভার্ট করবেন। শেখ হাসিনা বলেন, হাওর অঞ্চলের যেসব আদিম গাছগাছালি আছে- হিজল, করচ, তমাল এসব রক্ষা করতে হবে। প্রাকৃতিক বৈচিত্র যা আছে, প্রাণিজ-জলজ-বৃক্ষজ রক্ষা করতে হবে। জীববৈচিত্র সুরক্ষা করতে হবে। আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৬ হাজার ৬২৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ২ হাজার ৭১ কোটি ১০ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৪ হাজার ৫৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দুটি যথাক্রমে ‘মতলব-মেঘনা-ধনাগোদা-বেড়িবাঁধ (জেড-১০৬৯) সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প ও ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘সারাদেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্প, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় পর্যায়) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest