ঢাকা ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ভোলা প্রতিনিধি ॥আপেল মাহমুদ(শাওন) ভোলায় বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ভোলা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে বর্নাঢ্য একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মৃধা: মো: মোজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক । এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, আবু তাহের, আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডর এর আহবায়ক হামিদুর রহমান হাসিব,আদিল হোসেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিলো। ভোলার দেওলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সমুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে । মুক্তি যোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্্েরর কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনী কে খবর দেয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়। পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলা কে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করে মুক্তিযোদ্ধারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST