কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না, টোকাই দিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়: কাদের

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না, টোকাই দিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়: কাদের

আলোকিত সময় ডেক্সঃ নেতা হতে হলে কর্মীবান্ধব হতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, কর্মীরা নেতা হয়ে যাওয়ায় এখন কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। টোকাই দিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে খুলনায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতা যত বাড়ছে, কর্মী তত কমছে। এখন আর পোস্টার-ব্যানার লাগাতে কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। টোকাই দিয়ে, ভাড়া করা লোক দিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়। কর্মীরা এখন নেতা, পোস্টার লাগাবে কে?’

বিতর্কিত নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের থেকে সাবধান। ঘরের মধ্যে ঘর তৈরি করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। শুরু হয়ে গেছে শেখ হাসিনার অ্যাকশন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মনে করছেন এখানে (খুলনায়) অ্যাকশন হবে না, তা ভাববেন না। টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, সুবিধাবাদীরা সাবধান!’

তিনি বলেন, যারা দাগি, সন্ত্রাসী তারাই বিতর্কিত। বিতর্কিতদের দলে টানবেন না। আওয়ামী লীগে দূষিত রক্তের দরকার নেই। তবে ভালো লোকদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা সব সময় খোলা। ক্লিন ইমেজ, ভালো লোকদের আপনারা দলে স্থান দেবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজন দিয়ে পকেট কমিটি দিয়ে রাজনীতি করবেন না। আওয়ামী লীগে পকেট কমিটির কোনো প্রয়োজন নেই। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। ছবি ঝুলিয়ে, বিলবোর্ড দখল নিয়ে প্রচার করে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে কর্মীবান্ধব হতে হবে।’

বিএনপিকে নালিশ পার্টি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রেস ব্রিফিং আর নালিশ করা ছাড়া বিএনপির আর কোনো অবলম্বন নেই। বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপিকে নিয়ে এখন আর বিচলিত হবেন না। বিএনপির রাজনীতি চোরাবালিতে আটকে গেছে।’

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা’ কবিতার লাইন- ‘আমি শুধু হাসি আঁখি জলে ভাসি’ উদ্ধৃত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথায় কথায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। অথচ বিএনপির আমলে ‘হাওয়া ভবন’ ছিল ‘খাওয়া’ ভবন। তারা পাঁচ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের মুখে দুর্নীতির কথা শোভা পায় না।”

বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে তালুকদার আবদুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক পদে এমডিএ বাবুল রানা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে শেখ হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর নাম ঘোষণা করেন।

এদের মধ্যে তালুকদার আবদুল খালেক ও শেখ হারুনুর রশিদ খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি দুজন প্রথমবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। অবশ্য সুজিত অধিকারী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest