দীর্ঘ নয়মাসে ত্রিশালের রফিক হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো ডিবি পুলিশ

প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

দীর্ঘ নয়মাসে ত্রিশালের রফিক হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো ডিবি পুলিশ

শহিদুল ইসলাম সোহেল,ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের দীর্ঘ তদন্তে নয় মাস পর ত্রিশালের “রফিক হত্যা” মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ভারাটে কিলার রুবেলকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ মামলার রহস্য উদঘাটন হয়। রুবেল সোমবার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সহ অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ত্রিশাল থানার খাগাটি গ্রামের ভিকটিম রফিককে গত ০৫/০৪/২০১৯ তারিখ রাত ০৮.০০ টায় তারই প্রতিবেশী বাবুল বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ঐ রাতেই রফিক আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে পাশ্ববতী মোবারক মেম্বারের পুকুরে পানিতে ভাসমান অবস্থায় রফিকের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রফিকের স্ত্রী বাদী হয়ে বাবুলসহ আরও ৬ জনকে আসামী করে ত্রিশাল থানায় মামলা করেন। ত্রিশাল থানা পুলিশ তদন্তকালে মামলার রহস্য উদঘাটনে তেমন সফলতা আসেনি।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন মামলাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপর দায়িত্ব প্রদান করেন। ডিবির অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই পরিলম চন্দ্র সরকারকে দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি দীর্ঘ তদন্তকালে ওসি শাহ কামাল আকন্দের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের অন্যতম ঘাতক মোঃ রুবেলকে গ্রেফতার করে। তাকে ভালুকার সিডস্টোর এলাকা থেকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে ত্রিশালের নারায়ণপুরের আঃ খালেক ওরফে পক্কুর ছেলে। ওসি আরো বলেন, সোমবার তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ০৩ নং জিআর আমালী আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রুবেল এই হত্যাকান্ডে নিজেেকে জড়িয়ে এবং হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পরিমল চন্দ্র সরকার বলেন, গ্রেফতারকৃত রুবেলের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার খুনি। রুবেলের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফিককে খুন করেছে। উল্লেখ্য এর আগে পুলিশ হারুন, বরআটজুলি ও বাবুল নামে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest