ঢাকা ৭ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান,বিশেষ প্রতিনিধি,ঢাকাঃ টঙ্গীর কলাবাগান বস্তি এলাকায় রবিবার গভীর রাতে সাবেক কাউন্সিলর সেলিমের বিরুদ্ধে পোস্টার ও ফেস্টুনে অপপ্রচার করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে শরিফের নেতৃতে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সেলিমের ছোট ভাই মামুন ও নজরুল ইসলাম এবং মাইদুল ইসলামের উপর হামলার চেস্টা চালায়।
বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসি ওই সন্ত্রাসীদের উপর পাল্টা হামলা চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে শরিফ ও তার লোকজন রামদা ফেলে পালিয়ে যায়। এঘটনার পর থেকে সংঘষের আশঙ্কায় পুরো বস্তিবাসীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এলাকাবাসি দেশীয় অস্ত্রটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সাবেক কাউন্সিলর সেলিমের ছোট ভাই গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন জানান, সুন্দর একটি পরিবেশ বিরাজ করছে কাঠাল দিয়া গ্রামে। এই গ্রামকে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ১নং আহব্বায়ক সাইফুল ইসলাম কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারামারি পরিবেশ তৈরী করেছিল।
আমরা এলাকাবাসীসহ তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি মাত্র। সাইফুল ইসলাম আমাদের নামে মিথ্যা বানোয়াট একটি পোষ্টার তৈরী করেছে। কলাবাগান বস্তির সাধারণ মানুষ সেই সব পোষ্টারের প্রতিবাদ করেছে। এলাকাবাসী জানায়, মিথ্যা পোষ্টার ও ফেসটুনের যারা তৈরী করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করবো ও ঝাড়– মিছিল করবো। সাইফুলের বাড়ি শ্রীপুর সে টঙ্গীতে ঘরজামাই হিসেবে থাকে। সে টাকা নিয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের কমিটি দিতে পারে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সে গাজীপুরের যুবলীগকে ধ্বংশ করে দিয়েছে।
মামুন জানান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং গাজীপুর ২-আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল মহোদয়ের সাথে কাঠালদিয়া বস্তির বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, একজন বস্তিবাসী বাসিন্দাও যেন ক্ষতিপূরণ ছাড়া বস্তি ছেড়ে না যায়। ইতি মধ্যে অনেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে চলে গেছে।
মামুন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যুবলীগের সাইফুল এই সরকারি প্রজেক্ট থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আরো দাবী করছে। ওই প্রজেক্টের কর্মকর্তা আমাদের কাছে বলেছে।
মামুন আওয়াজবিডি প্রতিবেদকে জানান, আমরা এলাকাবাসী সরকারি একটি টাকাও নষ্ট করতে দিবো না। সরকারি লোকজন যেন তদন্ত করে বস্তিবাসীকে ক্ষতিপূরণ দেয় এলাকাবাসী সেটাই দাবী করেছে। ক্ষতি পূরণ ছাড়া আমরা একটি ঘরও উচ্ছেদ করতে দিবো না।
এবিষয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহব্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, টঙ্গীর কতিপয় সন্ত্রাসী, হত্যা মামলার আসামী ও মাস্তান শ্রেণীর লোকজন জোরপূর্বক বস্তিবাসীকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে। বস্তি উচ্ছেদ করতে হলে বস্তিবাসীদের ক্ষতিপূরণ দিয়েই করতে হবে। সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, তারা সমাজের খেটে খাওয়ার গরীব- অসহায় মানুষ। অনৈতিকভাবে আপনাদের কেউ বস্তি থেকে উচ্ছেদ করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গরীব-দু:খী মানুষের জন্য রাজনীতি করে। টাকা নেয়া বা দাবী করার প্রশ্নই উঠে না, এটা অামার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার এস আই সুমন জানান. ঘটনাস্থল থেকে একটি ধাঁরালো রামদা উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST