সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর আলার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২০

সিদ্ধিরগঞ্জে কাউন্সিলর আলার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

সিদ্ধিরগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জর কদমতলী এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিটি করপোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার বিরুদ্ধে যিনি একই সঙ্গে থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সার্জেন্ট ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি করপোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় রাস্তা ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় কদমতলী এলাকায় মোজাম্মেল হোসেনের বাড়ির সামনে ড্রেন করার জন্য সিটি করপোরেশনের শ্রমিকেরা সেখানে কাজ শুরু করেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন তাতে বাধা দেন। এতে করে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কাউন্সিলর আলী হোসেন আলার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর আলা মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেনকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এবং বাজে ব্যবহার করেন।

ভুক্তভোগী মোজ্জামেল হোসেন বলেন, আমার বাড়ির সামনে ড্রেন নির্মাণ করবে সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো। আমরা এরজন্য সিটি করপোরেশনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে ড্রেন ও রাস্তার জন্য আমি বাড়ি করার আগেই জায়গা ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমার উল্টো দিকে বাড়ির মালিক কোন জায়গা ছাড়েনি। যখন ড্রেন করতে আসছে তখন আবারও জায়গার জন্য আমার বাড়ি ভাঙতে গেলে আমি বাধা দেই। তখন কাউন্সিলরকে অনুরোধ করি যাতে না ভাঙে। আমি ওনাকে বলি যে আমি আগেই জায়গা দিয়ে রেখেছি তাহলে আবার কেন আমার বাড়ি ভাঙবেন। পাশের বাড়িওয়ালা জায়গা ছাড়েনি সেখান থেকে ভাঙেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। বলেন সেখানে ফাউন্ডেশন করা বাড়ি ভাঙা যাবে না এদিক থেকেই ভাঙতে হবে। এতে আমি প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। আজ নিজের বাড়ির রক্ষা করতে গেলে কাউন্সিলর ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। বাজে ব্যবহার করে। আমি এর বিচার চাই।
মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ অস্বীকার করেন কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা বলেন, কোন ধাক্কা দেয়া হয়নি। ওনাকে বলেছি রাস্তা সবার জন্য। আর রাস্তা করতে গেলে কারো তিনফুট যায় আবার কারো এক ফুট। এভাবেই সবাই মিলে রাস্তা করতে দেয়। এখানে যেতেহু একটু অংশ পরেছে সেহেতু এদিক থেকে ভেঙে করে ফেলি। কারণ ওই পাশে ফাউন্ডেশন দেওয়া ভবন। যা ভাঙতেও সমস্যা। এর বেশি কোন কথা হয়নি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest