এবার রাজশাহীতে নয় ঠাকুরগাঁয়ে খেজুরের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছীরা

প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২০

এবার রাজশাহীতে নয় ঠাকুরগাঁয়ে খেজুরের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছীরা

মোঃ মোতাহার হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নারগুন ইউনিয়নে খেজুরের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছীরা
শীত মৌসুমের শুরুতে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহীর ৮ জন আসা গাছীরা। এই মৌসুমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুড় উৎপাদন ও বিপণনের সাথে যুক্ত ওই এলাকার কিছু মানুষ। উৎপাদিত গুড় ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে পরিবহনের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও হাটে বাজারে ঠাকুরগাঁয়ের নানা প্রান্তে পৌঁছানো হয়।

আবহমান গ্রাম বাংলায় শীতের সকালের সূর্য্য মিটমিট করে আলো ছড়ানোর আগেই গাছীরা বেরিয়ে পড়ছেন খেজুরের রস সংগ্রহে। এরপর সংগৃহীত রস জ্বাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। সুস্বাদু পাটালি ও লালি গুড় বিক্রি করে চাঙ্গা এখন গ্রামীন অর্থনীতির চাকা। শীতের এই মৌসুমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুড় উৎপাদন ও বিপণনের সাথে জড়িয়ে পড়ে এই এলাকার কিছু মানুষ।

ঋতুর পালাবদলে ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ, পিরগঞ্জে, গড়েয়া হাট সদর উপজেলায় এমন দৃশ্য এখন দৃশ্যমান।
এদিকে, ভাল দাম পেতে গাছীরা উৎপাদিত গুড়ে আর্কষণীয় করে তুলছে।

চাষীরা বলেন, ফিটকিরি আর চিনি মেশালে দামটা ভালো পাওয়া যায়। কারণ এটা দিলে পাটালির রঙটা চকচকে হয়। চকচকে না হলে দামটা কমই হয় বলে জানান বিক্রেতা। কিন্তু আমরা কোন কিছুই মিষ্ট করি না। একথা বলেন সুজন,সাইফুর,মজিদ ও রবিউল হোসেনসহ অনেকে।
হাটের দিন স্থানীয় মোকামে এসব গুড় পাইকারি লালি গুর ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং ডিকা গুর ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেন গাছীরা। এরপর ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে বিভিন্ন হাটে বাজারে বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় উৎপাদিত এসব অঞ্চলের গুড় ও পাটালি।
আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখি নারগুন ইউনিয়নে ভবলা ইখু ফার্মে প্রায় ৫০০ খেজুর গাছ আছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest