দিনাজপুরের খানসামায় স্লিপ এর টাকা ব্যাপক ভাবে লোপাটের অভিযোগ।

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯

দিনাজপুরের খানসামায় স্লিপ এর টাকা ব্যাপক ভাবে লোপাটের অভিযোগ।

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ বিশেষ প্রতিনিধি, দিনাজপুর। দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়নের জন্য ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দে রুটিন মেইনটেনেইন্স,প্রাক প্রাথমিক ও স্লিপের বরাদ্দ দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতি স্কুলের জন্য রোটিন মেইনটেনেন্স বাবদ বরাদ্দ ৪০ হাজার,প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা উপকরণ বাবদ ১০ এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি গড় অনুসারে স্লিপের টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রাক প্রাথমিক ১০হাজার, স্লিপ বরাদ্দ (শিক্ষার্থী অনুযায়ী) ৪০ হাজার থেকে অধিকহারে এবং কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাঝারি মেরামত থাকলে একলাখ পঞ্চাশ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয় । সরকারী এই টাকাগুলি বিভিন্ন ভাবে লোপাট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সুত্রের অভিযোগে জানা যায়,গত অর্থ বছরের বরাদ্দ থেকে বিশ হাজার টাকা ডিজিটাল হাজিরা বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয় করার কথা থাকলেও অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ৩০ জুন /২০১৯ ইং তারিখে মধ্যে তা ক্রয় করেননি। এ বিষয়ে খানসামা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ডলার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ে শিক্ষকরা একক ভাবে দায়ী নয় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতেও অনেক দেরি হয়েছে। তবে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে নেউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও বর্তমানে খামার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলু রহমানের বিরুদ্ধে দুইটি প্রতিষ্ঠানের বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ের টাকা জমা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান বায়োমেট্রিক মেশিন দুইটি ক্রয়ের টাকা আমার কাছে জমা নেই। আমার কাছে শুধু খামার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার টাকাই জমা রয়েছে। একই ভাবে গোয়ালডিহি ময়দানের ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয়ের টাকা আমার কাছে জমা আছে, আগামীকাল আমাদের মিটিংএ সিদ্ধান্ত হবে, খুব তাড়াতাড়ি আমি বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয় করবো। বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার বিষয়ে সহজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুর ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন সরকারের মহৎ উদ্যোগকে কিছু শিক্ষক গ্রুপিং করে নিম্ন দামে বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার পায়তারা করছেন। ২০ হাজার টাকা করে বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার জন্যে বরাদ্দ রয়েছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest