রামেক হাসপাতাল থেকে নারীসহ ১৭ জন রোগী ধরা দালাল আটক l

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১

রামেক হাসপাতাল থেকে নারীসহ ১৭ জন রোগী ধরা দালাল আটক l

রাজশাহী ব্যুরো :রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারীসহ ১৭ জন রোগী ধরা দালালকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিবির্ভাগ ও জরুরী বিভাগের সামনে থেকে তাদের আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আটককৃত দালালরা হলেন, নগরীর রাজপাড়া থানার চণ্ডিপুর এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে হাসিবুল ইসলাম (২৩), একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে বাদল (৩৮), নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার মৃত রমজানের ছেলে সুর্য (৫৫), কাজিহাটা এলাকার মৃত লক্ষণের ছেলে প্রসাদ দাস (২২), বহরমপুর ব্যাংক কলোনি এলাকার জুলমত (৪৩), লক্ষীপুর টিবি রোড এলাকার জসিমের ছেলে আঃ জলিল ওরফে রাজা

(৫৫), মেডিকেল কোয়ার্টারের কবিরের ছেলে সাইদুর রহমান ওরফে বাবু (৪২), বহরমপুর লাইনের ধার এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ (৩৫), সিপাইপাড়া এলাকার মৃত সন্তোষের ছেলে সঙ্গীত (৪০), মৃত নরেনের ছেলে সেন্টু রায় (৪২), কাজিহাটা এলাকার মৃত আশরাফের ছেলে সুমন আলী (৪১), নগরীর আলিগঞ্জ এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে নূর হোসেন ওরঠে নাইম(২৩), নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হাদিরমোড় এলাকার মৃত খন্দকারের ছেলে বাবু (৬৫), নগরীর মতিহার থানার বুথপাড়া হরিজন কলোনি এলাকার মৃত স্বপনের ছেলে স্বাধীন ওরফে টিপু (২২), কাশিয়াডাঙ্গা থানার রায়পাড়া গ্রামের মৃত সালামের ছেলে আরিফ (৩০), বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার চাপাপুর গ্রামের মৃত রশিদ শেখের ছেলে রনি শেখ (২৪) ও

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সলুয়া গ্রামের তৌহিদুলের মেয়ে রোজিনা (৩৫)।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে দালাল চক্রের সদস্যরা রোগী ও রোগীর আত্বীয়-স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দিয়ে বিরক্তিকর কাজসহ টানাহেচড়ার মত আচরণ বাইরে নিয়ে গিয়ে নি¤œমাণের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করে থাকে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, হাসপাতালকে

কেন্দ্র করে আউটডোরের আশেপাশে বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। নিম্নমাণের এসব প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি দালাল নির্ভর। দালালরা প্রতারণা করে রোগীদের নিয়ে গিয়ে বেশি টাকা আদায় করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা এসব প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট অনেক সময় না দেখার কারণে রোগীদের আবার টাকা খরচ করে পুনরায় রিপোর্ট করাতে হয়। এদিকে, স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনেকেই নিজেদের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করতেন। বাইরে থেকে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে এদের ফাঁদে অনেকেই পড়তেন।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest