‘ডগ স্কোয়াড’

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২১

‘ডগ স্কোয়াড ‘ নাম শুনলেই চোখের সামনে ভাসে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অধীন দূর্ধর্ষ কিছু প্রশিক্ষত বিদেশী কুকুরের ছবি। যারা নিমিষেই বিভিন্ন অপারেশনে বা ঘটনার আলামত সংগ্রহ, বোমা উদ্ধার, মাদক উদ্ধারে দ্রুত কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশে ও বিভিন্ন বাহিনীতে এই ডগ স্কোয়াড রয়েছে। এর মধ্যে র্যাবের ডগ স্কোয়াড অন্যতম।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানে (র‌্যাব) বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘ডগ স্কোয়াড’ রয়েছে। যেকোনো বড় ধরনের অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকসহ ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের খোঁজে র‌্যাবের প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছুটে আসে এই ডগ স্কোয়াড।

শারীরিক গঠন, চালচলন ও ছুটে চলার ভঙ্গি দেখে কুকুরগুলো সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। ডগ স্কোয়াডে কতগুলো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রয়েছে, এগুলো কোন দেশের, এরা কী খায় ও কী ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং সর্বোপরি কীভাবে কাটে ওদের নিত্যদিন ইত্যাদি সম্পর্কে।

র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডে বর্তমানে মোট কুকুরের সংখ্যা ৬১টি। এগুলো জার্মানির শেফার্ড ও ইংল্যান্ডের লিউপার্ড প্রজাতির। কুকুরগুলোর প্রত্যেকটির ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। প্রতিটি কুকুরের জন্য একজন করে প্রশিক্ষক র‌্যাব সদস্য রয়েছেন।যিনি কুকুর গুলোর সার্বিক বিষয় দেখভাল করেন।আর তত্ত্বাবধানে মেজর পদমর্যাদার একজন পশু চিকিৎসকও রয়েছেন।
প্রতিদিন ভোরে উঠে পশু চিকিৎসকের নিদের্শনা ও পরামর্শ অনুসারে কুকুরগুলোকে ‘ডগ ফিড’ খাওয়ানোর পাশাপাশি চার থেকে পাঁচ পিস পাউরুটি খেতে দেয়া হয়। সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কুকুরদের প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ঘাম ঝরানো ‘ফিটনেস প্রশিক্ষণ’ দেয়া হয়।

দৌড়াঝাঁপ, বল কুড়িয়ে আনা ইত্যাদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টানা ৩০ মিনিট প্রশিক্ষণ চলে। পরবর্তীতে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রুটিন মাফিক একেকটি কুকুরকে বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র খুঁজে বের করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বিকেলে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খেলাধুলার ছলে হাইজাম্প, দ্রুত বল কুড়িয়ে এনে প্রশিক্ষকদের হাতে তুলে দেয়াসহ নানা শারীরিক কসরত করানো হয়।
সপ্তাহে তিনদিন ৮শ’ গ্রাম করে গরুর মাংস ও এক কেজি করে মুরগির মাংস, ২৫০ গ্রাম ভাত ও পর্যাপ্ত সবজি খেতে দেয়া হয়।
তবে কুকুরগুলোর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে খাবার ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
র্যাবের এই ডগ স্কোয়াাড বিভিন্ন অভিযানে সফল অপারেশন পরিচলানা করেছে।
ভবিষ্যত র্যাবের ডগ স্কোয়াডে দেশী প্রশিক্ষত কুকুর যুক্ত হবে আশা করা যায়। এবং আরো বিদেশী প্রজাতির প্রশিক্ষত কুকুর যোগ হওয়ার মাধ্যমে আরো সফল ভাবে অভিযান পরিচালনা করবে সফলতার সাথে।

Copyright : Bangladesh Military Affairs


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest