বিচ্ছেদের ফলে যেভাবে ভাগ হচ্ছে বিল গেটসের সম্পত্তি

প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২১

বিচ্ছেদের ফলে যেভাবে ভাগ হচ্ছে বিল গেটসের সম্পত্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদের ঘোষণা আসার পর আলোচনায় উঠে আসছেন তাদের সন্তানেরা। ধনকুবের এই দম্পতির তিন ছেলে–মেয়ে। বড় মেয়ের নাম জেনিফার গেটস। ছেলে রোরি জন গেটস মেজ। আর ছোট মেয়ে ফিবি অ্যাডেল গেটস।

মা–বাবার বিচ্ছেদের পর সন্তানেরা কী পরিমাণ সম্পদের মালিক হচ্ছেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে মা–বাবা অঢেল সম্পদের মালিক হলেও সন্তানেরা পাচ্ছেন তার খুব সামান্যই।

বিল গেটসের উইল অনুযায়ী, তিন সন্তানের প্রত্যেকই পাবেন এক কোটি মার্কিন ডলার, স্ত্রীও পাবেন একই পরিমাণ অর্থ। বাকি অর্থ চলে যাবে ট্রাস্টে। কিন্তু বিচ্ছেদের কারণে এখন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী মেলিন্ডা পাবেন বিল গেটসের সম্পত্তির অর্ধেক। অর্থাৎ, এক কোটি মার্কিন ডলারের বদলে এখন তিনি পাবেন অন্তত ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

প্রায় এগার লাখ দুই হাজার চারশত কোটি টাকার মামলা। ডলারে যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি ডলার। এই সম্পদ নিয়ে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বিশ্বের শীর্ষ ধনীর ৪ নম্বর অবস্থানে। সোমবার আকস্মিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। এ মর্মে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছেন। এখন এই অর্থ তাদের মধ্যে যদি অর্ধেক-অর্ধেক বা ৫০-৫০ হিসেবে ভাগ হয় তাহলে শীর্ষ ধনীর চার নম্বর অবস্থান থেকে নেমে ১১ নম্বরে চলে যাবেন বিল গেটস।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসেবে বিল গেটসের নিট সম্পদ আছে ১২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের। বিচ্ছেদের ফলে এই সম্পদ মেলিন্ডার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।

এর আগে ২০১৯ সালে লরাঁ সানচেজ নামের এক যুবতীর প্রেমে পড়ে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বোজেস স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। তার পরে সবচেয়ে বড় অংকের সম্পদের বন্টন হতে যাচ্ছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদে। তাদের রয়েছে বেশ কিছু রিয়েল এস্টেট। আছে ওয়াশিংটনে নিজস্ব মূল বাড়ি। সম্পদ আছে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, উইওমিং এবং ম্যাচাচুসেটসে। উপরন্তু আছে একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান। আছে বিস্ময়কর সব আর্টের সংগ্রহ। দ্রুতগামী একগুচ্ছ গাড়ির মালিকও বিল গেটস। মাইক্রোসফটের শতকরা ১.৩৭ ভাগ শেয়ারের মালিক বিল গেটস নিজে। সিএনবিসির মতে, এই অর্থের পরিমাণ কমপক্ষে ২৬০০ কোটি ডলার। ২০২০ সালের মার্চে তিনি মাইক্রোসফটের পরিচালনা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। তা সত্ত্বেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলার একজন প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের গেটস ভেঞ্চারের মাধ্যমেও তিনি অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। অন্যদিকে ২০১৫ সালে নতুন একটি সংগঠন দাঁড় করেছেন মেলিন্ডা। এর নাম পাইভোটাল ভেঞ্চার। এটি একটি স্বতন্ত্র অফিস।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, এনবিসি


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest