ঢাকা ৪ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এস ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি।
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় সাগরি বেগম নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। দূ’সন্তানে জননী সাগরি বেগম মানুষিক রোগী বলে জানায় তাঁর মেয়ে শ্রাবণী আক্তার। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোরে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।
সোমবার ১৪ জুন সকালে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ভিতরভাগ গ্রামে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। সাগরি সবার অজান্তে নিজ শয়নকক্ষে তীরের সাথে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। সাগরি বেগম বাসের হেলপার সান্টু মিয়া’র স্ত্রী। এ দম্পতির কন্যা শ্রাবণী আক্তার ভিতরভাগ বাই আপ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও পুত্র সাজু ভিতর ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
শ্রাবণী আক্তার জানায় , তার মা একজন মানুষিক রোগী। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাঁর মাকে বাড়িতে রেখে সে এক প্রতিবেশির বাড়ি যায়। আনুমানিক ৮টার সময় বাড়ি ফিরে শয়নকক্ষের দরজা ভিতর থেকে আটকানো দেখতে পায়। তার ডাকে মায়ের কোন সাঁড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। সে সময় তার চাচাত ভাই ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া আসিফ একই ঘরের অন্য কক্ষ দিয়ে প্রবেশ করে দরজা খোলে দেয়। সে সময় তার মাকে দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
সাগরি বেগমের চাচি আর্জিনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই এদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি। শারীরিক ও মানুষিক অত্যাচারে দীর্ঘদিন যাবত সাগরি বেগম মানুষিক রোগে আক্রান্ত। সুষ্ঠু চিকিৎসার অভাবে সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়না।
সাগরি’র শ্বাশুড়ি জাহানারা জানান, সাগরি মানুষিক রোগী। সে সময় সময় স্বামী -সন্তান রেখে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বাড়িতে কোন কলহও হয়নি।
সাগরি বেগমের স্বামী বাসের হেলপার সান্টু মিয়া জানান, তিনি তিনদিন বাড়ি ছিলেন না। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাড়িতে এসেছেন।
এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST