ঢাকা ১৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চীনের সিনোফার্মের তৈরি আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই এ টিকা দেশে আসবে। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি ২৭তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মা থেকে ৬০ মিলিয়ন ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) চুক্তিপত্রে উল্লিখিত একক মূল্যে ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। হিসাব করে দেখেছি দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনেটেড করতে হবে। তার জন্য ২৭ কোটি ৬৫ লাখ ভ্যাকসিন কেনা প্রয়োজন। এর মধ্যে ২ কোটি ৫৫ লাখ আমাদের হাতে আছে। বাকিটা সংগ্রহ করতে হবে। আজ আমরা ৬ কোটি ডোজ কেনার জন্য অনুমোদন দিলাম। বাকিটা পর্যায়ক্রমে অনব। ভ্যাকসিনের দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বলব না। আগের নির্ধারিত যে দাম আছে তার চেয়ে বাড়েনি। সবমিলে যে ২৭ কোটি ডোজ টিকা লাগবে তার জন্য সরকারের কতো টাকা লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রাইসটি আমাদের কাছে নেই। কারণ বাকিগুলো এখনো নেগোসিয়েশন চলছে। প্রাইস ফাইনালাইজড হলে আমরা বলতে পারব। প্রাইস এখনো ফাইনালাইজড হয়নি, সে জন্য আমরা বলতে পারছি না।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ২২তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ২৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইকোনোমিক অ্যাফিয়ার্স কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং পারচেজ কমিটির অনুমোদনের জন্য ১০টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। পারচেজ এর প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২টি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১টি, সেতু বিভাগের ১টি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। পারচেজ কমিটির অনুমোদিত ১০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৯টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৭৮৪ কোটি ৮২ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৪৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৪১৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৯৬ টাকা এবং দেশিয় ব্যাংক হতে ঋণ ৩৬৫ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৫০ টাকা।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST