সদর মডেল থানার এএসআই এনায়েত করীমকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯

সদর মডেল থানার এএসআই এনায়েত করীমকে প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক::

নারায়ণগঞ্জের শহিদ নগরের হোসিয়ারি ব্যবসায়ী জিকুকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত করীমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৩০ই ডিসেম্বর সোমবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে এএসআই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এনায়েত করিমকে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) শাফিউল আজম খান।

২৯ই ডিসেম্বর রবিবার সকালে এএসআই এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে শহিদ নগরের বাসিন্দা হোসিয়ারি ব্যবসায়ী মো. জিকুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করে জিকুর পরিবারের লোকজন। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে মো. জিকুর মুক্তি ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে জিকুর পিতা মজিবুর রহমান, মা সুলতানা বেগম, ভাতিজী অন্তরা আক্তার, চাচা ইসমাইল হোসেন কাজল ও ছোট ভাই জামিল আহমেদ রিকু উপস্থিত ছিল।
স্বজনদের দাবি, দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না পাওয়ায় তাদের সন্তানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে এএসআই এনায়েত করিম। সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান বলে, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদ নগরের বাসিন্দা। আমার ছেলে জিকু তিনটি মেশিন নিয়ে ছোট হোসিয়ারির ব্যবসা করে। গত ১২ ডিসেম্বর জিকু ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শামীমকে কোন কারণ ছাড়াই তুলে নিয়ে যায় এএসআই এনায়েত করিমের নেতৃত্বের একদল পুলিশ। পরে দুই লাখ টাকা দাবি করে এনায়েত। আমি অনেক কষ্ট করে স্ত্রীর অলংকার বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা পরের দিন শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জনৈক সুমনের মাধ্যমে এএসআইকে দেই। ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও সে আমার ছেলে জিকু ও শামীমকে ১০০ পুড়িয়া হেরোইন দিয়ে চালান দেয়।
জিকুর বাবা বলে, আমার ছেলে সিগারেটও খায় না। সেখানে হেরোইনের মতো নেশাদ্রব্য দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আজ অপরাধ না করেও অসাধু পুলিশ এএসআই এনায়েত করিমের জন্য বিনা অপরাধে জেল হাজত খাটছে আমার ছেলে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, আইজিপি, ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জের মাননীয় পুলিশ সুপার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ অভিযুক্ত এএসআই এনায়েত করিম। এনায়েত বলে, তারা এসপি স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। এখন আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারব না। আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest