আইটি নির্ভর- পিপলএনটেক আগামীতে দেশের সমৃদ্ধিতে পথ দেখাবে

প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১

আইটি নির্ভর- পিপলএনটেক আগামীতে দেশের সমৃদ্ধিতে পথ দেখাবে

জোবায়ের হাসান নাহীয়ান : তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশে পিপলএনটেক যাত্রা শুরু করে। এর আগে আমেরিকাতে প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি জব প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা করে আসছে। বর্তমানে পিপলএনটেক বাংলাদেশেও প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর জব প্লেসমেন্টের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রত্যেককে ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে আমরা অনেক সময় দেখি সিএসই ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেও অনেকে চাকরি পাচ্ছেন না। আমরা মার্কেট এনালাইসিস করে যেসব প্রতিষ্ঠান দক্ষ আইটি প্রফেশনাল খুঁজছে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে জব প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা করছি। দেশে ও বিদেশে আমাদের এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। যাদের সমস্যা হচ্ছে তাদের কোর্স রিপিট করার সুযোগ দিচ্ছি। বর্তমান বাস্তবতায় আমরা আমাদের প্রশিক্ষণ কোর্স ছোট ছোট করে ভেঙে ফেলেছি। এখন ১, ৩, ৬ ও ১২ মাসের অনেকগুলো কোর্স চালু করা হয়েছে। ফলে যার যতটুকু যে বিষয়ে জানা দরকার তা সাচ্ছন্দ্যে জানতে পারছেন। চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যানিমেশন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং, সার্ভার ম্যানেজমেন্ট ও ডিপ্লোমা কোর্সগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। এসবের যত চাহিদা বাড়বে তত কর্মক্ষেত্র তৈরি ততো। তাই এখনই এসব বিষয়ে যারা জেনে নিতে পারবেন তারাই কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। অন্যের সাফল্য অনুপ্রেরণা হিসাবে নিয়ে নিজের পছন্দ ও সক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে সারা জীবনে আর কখনই পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আমাদের ডাইনামিক সাপোর্ট টিম ট্রেইনীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে নিয়োজিত থাকে।

কোন ক্ষেত্রে পেশা নির্বাচন করা উচিত অনেকেই তার চাওয়া বুঝতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে তার কোন পেশায় যাওয়া উচিত তা নির্ধারণ করার জন্য নিজের পারিপার্শ্বিক অবস্থাও অনেক কিছু বলে দিতে পারে। পিপলএনটেকে কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার আগে থেকে কাউন্সেলিং করে কাউন্সিলিং করে সক্ষমতা যাচাই করে নেয়া হয়। তখন সে যদি মনে করে এ বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে তার কষ্ট হবে না তাহলে ক্লাস শুরু করবে। অন্যথায় বিকল্প চিন্তা করতে হবে। বিগত ২ বছরের বৈশ্বিক মহামারী মানুষকে প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে শিখিয়েছে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিবে। আজকের তরুণ প্রজন্ম নিয়ে ডিজিটাল দক্ষতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। তাদের ডিজিটাল শিক্ষা দিতে হবে। প্রযুক্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধি করছি। সেখানে আমরা শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন করার সুযোগও দিচ্ছি।

এছাড়া ঢাকার বাইরে প্রত্যেক জেলায় পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আইটি ট্রেনিং এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা হচ্ছে। দেশের আইটি খাতে জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য আমরা আমাদের ট্রেনিংয়ের বাংলা ভিডিও ইউটিউবে দিয়ে দিচ্ছি। এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে যারা আইটিতে প্রশিক্ষণ নিতে চাচ্ছেন তারা সহজেই ঘরে বসে ট্রেনিং নিতে পারবেন। এছাড়া যারা সরাসরি ট্রেনিং নিতে চাচ্ছেন তারা আগে থেকেই ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে আইটি ট্রেনিং সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে অন্যান্যদের থেকে আলাদাভাবে তুলে ধরতে প্রযুক্তির বিকল্প নেই।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest