মা-ছেলেকে অপহরণ করা সিআইডির সেই ২ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২১

মা-ছেলেকে অপহরণ করা সিআইডির সেই ২ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

মা ও ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি রংপুর সিআইডির এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত কোনো লিখিত আদেশ এখন পর্যন্ত রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। এটি ঢাকা থেকে নেয়া সিদ্ধান্ত। তবে এখনও আদেশের লিখিত কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।

চলতি মাসের পলাশ নামের এক ব্যক্তি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই সালেমান শাহ পাড়া এলাকার মৃত ওসমান গণির ছেলে লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে রংপুর সিআইডির কাছে ২৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেন টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য আবেদন জানান। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৩ আগস্ট রাত ৯ টার দিকে ৬-৭ জন ব্যক্তি লুৎফরের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের সদস্য ও র‌্যাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ির আলমারি, শোকেস, ড্রয়ারসহ বিভিন্ন স্থান তছনছ করে। তারা লুৎফর রহমানকে না পেয়ে স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে তুলে নিয়ে যায়।

পরে পরিবারের সদস্যরা দিনাজপুর ডিবি কার্যালয়ে খোঁজ করলে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়নি বলে জানায়। অপহরণকারীরা জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল থেকে ভিকটিমদের উদ্ধারের জন্য ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা দাবি করে বলে মুক্তিপণ না পেলে ভিকটিমদের হত্যার হুমকি দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে এবং সেখানে লিখিত অভিযোগ দেয়। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা অপহরণকারীদেরকে ৮ লাখ টাকা দিতে যান। সেই মোতাবেক অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে বাশেরহাট এলাকায় ওত পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা অপহরণকারীদেরকে আটক করে।

এই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব, নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিহ উল আলম পলাশকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই ঘটনায় আসামি পলাশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার বাকি ৫ আসামি হলেন- চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের মৃত এন্তাজুল হকের ছেলে আরেফিন শাহ, শহরের ৬ নং উপশহর খেরপট্টি এলাকার সোহেল, সুইহারী চৌরঙ্গী বাজারের রিয়াদ, ২ নং উপশহর এলাকার সুমন ও ৩ নং উপশহর এলাকার জাহিদ।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest