৩৮ বছর পুলিশের চাকরি জীবন, কনস্টেবল পেলেন রাজকীয় বিদায়

প্রকাশিত: ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

৩৮ বছর পুলিশের চাকরি জীবন, কনস্টেবল পেলেন রাজকীয় বিদায়

দীর্ঘ ৩৮ বছর চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবসে কাজী নূরুল আমিন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে রাজকীয় বিদায়ের আয়োজন করলেন কুমিল্লার বুড়িচং থানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন। সম্মানের সাথে এই পুলিশ সদস্যের বিদায়ের আয়োজন দেখে সকল পুলিশের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।তার অবসরে যাওয়ার দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে বর্ণাঢ্য বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে বুড়িচং থানা ও দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর ২০২১) সন্ধ্যায় আনন্দঘন পরিবেশে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বিদায়ের সময় পুলিশ সদস্যরা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল কাজী নূরুল আমিন ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বিদায় জানান। শুধু তাই নয়, সুসজ্জিত গাড়িতে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়েছিলেন উপস্থিত সকল পুলিশ সদস্য। বিদায়ী কনস্টেবলের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রাম।

বুধবার বিকেলে বুড়িচং থানার দেবপুর ফাড়িতে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, দেবপুর ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এসআই মোঃ কামাল হোসেন, এসআই ডালিম কুমার মজুমদার, এসআই কাজী হাসান উদ্দিন, এসআই মোঃ রুহুল আমিন, এএসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম, এএসআই সুমনসহ অনন্যা সদস্যরা।

বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, আমি বুড়িচং থানাতে আসার পর এই প্রথম থানা থেকে কোনো কনস্টেবল অবসরে যাওয়ার পর তাকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিদায় সংবর্ধনা ও সুসজ্জিত গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করি। তিনি বলেন, কাজী নূরুল আমিন একজন চৌকস কনস্টেবল ছিলেন। বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়িতে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি।

বিদায়ী পুলিশ কনস্টেবল কাজী নুরুল আমিনকে বাড়ী পৌঁছে দেয়ার জন্য ফুল দিয়ে গাড়ী সাজানো হয়। তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক। সহকর্মীরা হাতে তুলে দেন বিভিন্ন উপহার। চাকরী জীবনের শেষ দিনে এমন বর্ণাঢ্য আয়োজনে আপ্লুত কাজী নুরুল আমিন বলেন, আমার চাকরী জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওনা। জীবনের ৩৮ টা বছর দেশের নানা জায়গায় কাজ করেছি। বিদায় বেলায় ওসি স্যার যে আয়োজন করলেন তা সারা জীবন মনে থাকবে। পরে ফুল দিয়ে সাজানো গাড়ী করে দেবিদ্বার নিজ গ্রামে পৌছে দেয়া হয়।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest