বিপদসীমার ৩৫সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি-আতংকিত চর অঞ্চলের মানুষ।

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১

বিপদসীমার ৩৫সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি-আতংকিত চর অঞ্চলের মানুষ।

হারুন অর রশিদ,নিলফামারীঃ

উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুত্র জানায় শুক্রবার (৩সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিপদসীমার ৩৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধা ছয়টায় বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো।

ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেণ্টিমিটার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কয়টি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার দশটি ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজারেরও বেশি পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে চলতি মৌসুমে চার দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে জনমনে আতংক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভাঙ্গণের মুখে পড়া ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়ির চরের দুই নম্বর স্পার বাঁধটি নিয়ে দূঃশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, চার দিন আগে ভেন্ডাবাড়ি চরের দুই নম্বর স্পার বাঁধটি দেড়’শ মিটার ভেঙ্গে গেছে। এরফলে প্রায় দুই’শ পরিবারের ঘরবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। আবারো পানি বৃদ্ধি পেয়েছে শংকায় রয়েছে পাঁচশতাধিক পরিবার। যদি বাঁধটি।রক্ষা করা না যায় তাহলে কপাল পুড়বে এলাকার মানুষদের।

ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, হঠাৎ করে আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ইউনিয়নে তিস্তা নদী বেষ্টিত এক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চর এলাকার মানুষরা পানি হয়ে পড়েছেন।

জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেছি আমরা। কয়েক দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব বাঁধে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছিলো সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest