“শরীয়তপুরে আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় পাঠদান শুরু”

প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১

“শরীয়তপুরে আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় পাঠদান শুরু”

শরিফুল আলম ইমন, শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ করোনার কারনে বিদ্যালয় ছিল বন্ধ। দীর্ঘ ১৮ মাস বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি কোমলমতি শিশুরা। সারা বাংলাদেশের ন্যায় কোভিড-১৯ চলাকালীন দীর্ঘ বিরতির পর শরীয়তপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় পাঠদান শুরু করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই জেলা সদরের ০৪ টি স্কুল পরিদর্শন ও কাপড়ের তৈরি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করেন জনাব মোঃ পারভেজ হাসান জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর জেলার অন্তত এক লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী আনন্দিত ও উচ্ছাসিত।

শরীয়তপুর জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়,জেলায় ৬৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,৫৭টি মাদ্রাসা ও ১৮টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ৬৫ হাজার ৫৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর মাধ্যমিক,মাদ্রাসা ও কলেজ মিলে শিক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার। অভিভাবকরা সকাল থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের পৌঁছে দেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে আসে। শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফুল ও মাস্ক উপহার দিয়ে শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানান। নড়িয়া,সখিপুর ও ভেদরগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর উদ্যোগে ১ লাখ মাস্ক বিতরন করা হয়েছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক একে.এম শহীদুল হক তার প্রতিষ্ঠিত মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিতরন করেছেন।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, সকালে জেলার চারটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানাই ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দেই। শ্রেনী কক্ষে যাতে শিশুরা স্বাস্থ্যবিধি মানে তা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকরা এ বিষয়ে নজরদারি করবেন। আর অভিভাবকরা যাতে বিদ্যালয়ের আশেপাশে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না করেন তার জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৯০ শতাংশ। বিদ্যালয়ে ঘুরে শিশুদের উচ্ছাস দেখে আপ্লুত হয়ে পরেছি। বন্যার কারনে ৯৫টি বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরু করা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরেছিলাম। বন্যার পানি কমে যাওয়ায় শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের আমাদের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্ঠায় ওই সকল বিদ্যালয়েও পাঠদান শুরু করেছি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest