আদালতের রায়ের পরও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ হয়নি, বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন প্রাথমিকের দপ্তরীদের l

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২১

আদালতের রায়ের পরও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ হয়নি, বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন প্রাথমিকের দপ্তরীদের l

রাজশাহী প্রতিনিধি:
উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী রাজশাহী জেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আউটসোসিং এর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত দপ্তরী কাম প্রহরীদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও ছুটি প্রাপ্তি বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসক, প্রাথমিকের
বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে দপ্তরী কাম প্রহরীরা। আজ রোববার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাত করে প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী সহায়ক সোসাইটির উদ্যোগে এ দাবি সম্বলিত আবেদন দেয়া হয়।
পরে যথাক্রমে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম ও বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে এ আবেদনপত্র জমা দেন তারা।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত দপ্তরী কাম প্রহরী অর্থ মন্ত্রণালয়ের আউটসোসিং নীতিমালা
২০০৮ ও প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১২ সালের আউটসোসিং নীতিমালায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১২ সালে আউটসোসিং নীতিমালা অনুচ্ছেদ ১১/১ মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সরকারী ছুটি প্রাপ্যতার কথা থাকলেও তারা কোনো ছুটি পান না। রিট পিটিশন নং-১৭০৮৩/২০১৭
দপ্তরী কাম প্রহরীদের দায়িত্ব বিদ্যালয় সময় থাকলেও মাঠ পর্যায়ে দিনে এবং রাতে ডিউটি করিয়ে নিচ্ছে। যার জবাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দপ্তরী কাম প্রহরীদের ডিউটি ২৪ ঘন্টা না, স্কুল টাইম বলে উল্লেখ করে। কিন্ত মাঠ
পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই তারা তাদের দাবিগুলো পূরণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
দপ্তরী কাম প্রহরীরা জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বার বার কর্মঘণ্টা নির্ধারণে বিদ্যালয় প্রধানগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও তারা এটি নির্ধারণ করেনি। এ কারণে তাদের বিদ্যালয় সময় ছাড়াও রাতেও ডিউটি করতে হয়। বছরের কোনো দিনেই ছুটি মেলেনা। কর্মঘণ্টা নির্ধারণ না থাকার কারণে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাদের। তাই উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও ছুটি বাস্তবায়নের দাবি পূরণে জেলা প্রাশসক,
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপ-পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী সহায়ক সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম হোসেন বলেন, আমরা কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও ছুটি প্রাপ্তির জন্য আদালতে মামলা
করেছিলাম। উচ্চ আদালত রায়ও দিয়েছে। কিন্ত মাঠ পর্যায়ে এখনো সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা লিখিত আবেদন করেছি জেলা প্রশাসক স্যার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আশা করি একটি সুষ্ঠ সমাধান পাবো। রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী তাদের নিয়োগ হয়েছিল। এখানো শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। দপ্তরীরা একটি আবেদন দিয়েছেন। আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরীরা একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। আমরা সেটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবো। উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী সহায়ক সোসাইটির কেন্দ্রীয়
সভাপতি গোলাম হোসেন, তানোর উপজেলার সভাপতি মিলন মৃধা, বাগমারা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম, বাঘা উপজেলার সভাপতি সাকিরুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, বাঘা উপজেলার কোষাধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম, তানোরের মাহাবুর রহমান, মনিরুল ইসলাম ও রিপন মোল্লা
প্রমুখ।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest