দলীয় মনোনয়ন না পেলেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফের মিলনকে চেয়ারম্যান বানাতে চায় বাংলাবান্ধার ভোটাররা

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২১

দলীয় মনোনয়ন না পেলেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে  ফের মিলনকে চেয়ারম্যান বানাতে চায় বাংলাবান্ধার ভোটাররা

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন। এ নির্বাচনে ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ তেঁতুলিয়া উপজেলা সাতটি ইউনিয়নে দলীয় প্রতীক দিয়ে সাত তরুণকে মনোনয়ন দিয়েছে ফেলেছে। এবার দলীয়ভাবে মনোনয়নে সুভাগ্য হয়নি বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলনের। দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মামলা ও ভুলভ্রান্তির কারণে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও জনপ্রিয়তার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। ইউনিয়নের বেশির ভাগ ভোটাররা চাচ্ছেন তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোক কুদরত ই খুদা মিলন।

উচ্চ আদালত থেকে মামলাগুলো জামিন নিয়ে ঢাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় প্রবেশ করেন বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন। ইউনিয়ন প্রবেশ মুখে তাকে বরণ করে নিতে কয়েক হাজার জনগণের সমাগম ঘটে। হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসা সিক্ত হন তিনি। তবে এলাকায় প্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সব বাধা পেরিয়ে ভক্তদের মাঝে মিশে গেলে এক ভালবাসার আবেঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

পরে বক্তব্য রেখে বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে চারটি ওয়ারেন্ট ছিল। সব ফায়সালা করে ইউনিয়নের সবার সাথে দেখা করতে এসেছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমি আইনকে মানি। ৩৯ বছর বয়সে প্রায় ১১ বছর আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করেছি। একটি বাইসাইকেল দিয়ে, পায়ে হেটে ও একটি মাত্র জামা-প্যান্ট পড়ে স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করেছি। তাতে করে এ এলাকার মানুষের দু:খ-কষ্ট অনুভব করতে পারি। যখন ঢাকা থেকে জানতে পারি আপনার আমার জন্য ভালোবেসে রোজা রেখেছেন, মান্নত ও মিলাদ করেছেন এমনকি খাওয়া-দাওয়াও অনেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমি আপনাদের সাথে আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমাকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়নি তাতে দু:খ নেই। আপনারা যে আমাকে ভালোবেসে আবারও প্রমাণ করলেন এটাই া পরম পাওয়া।

জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন পেতে আবেদন ফরম ক্রয় করেন কুদরত ই খুদা মিলন। এরপর জেলা থেকে ক্রয় করলেও ঢাকায় গিয়ে অপেক্ষা করেন মনোনয়ন পাওয়ার আশায়। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর উপজেলার সাতজনকে মনোনয়ন দিলেও মনোনয়ন হয়নি তার। মনোনয়ন না পাওয়ার আক্ষেপ, হতাশার ছায়া পড়ে ভোটারদের মাঝে। রবিবার রাতে ভোটারদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেন তিনি। চিঠিতে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ঘোর বিপদের সময়েও অগাধ ভালোবাসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এলাকার সবার সুখে-দু:খে প্রতিটি মুহুর্তে পাশে থাকার বরাবরের মতো থাকার দৃঢ় আশ্বাস দেন।

কুদরত ই খুদা মিলন জানান, বিশ্বাস করি মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষ কখনো মানুষকে ভুলে না। যা বাংলাবান্ধার মানুষ আমাকে যে ভালবাসা দেখিয়েছে, প্রমাণ দিয়েছে। জানি না কতটুকু করতে পেরেছি, তবে চেষ্টা করেছি গত ১০ বছরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করার। কাজ করলে ভুল হল, তাই আমারও কাজ করতে গিয়ে ভুলত্রæটি ছিল, তারপরেও সব কিছু বুঝিয়ে রেখে আজকের মানুষের সমাগম প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলাবান্ধার মানুষ আমাকে নিজের পরিবারের ছেলে বা ভাই হিসেবে মানে। দল থেকে মনোনয়ন আবেদন ফরম জমা দিয়ে নোমিনেশন চেয়েছি। হয়তো এমন কোন কারণে বা ত্রæটির কারণে আমাকে নোমিনেশন দেয়া হয়নি, এতে আমার কোন কষ্ট নেই। তারপরও আমি যদি নির্বাচন করে থাকি, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কথা বলে যাব। তবে আমার ইউনিয়নের মানুষের স্বার্থে তারা যেভাবে সেবা চান, সেভাবেই করার চেষ্টা করে যাব।।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest