স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক দেশদ্রোহী আসামী কে এই সাঈদ চৌধুরী !

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২

স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক দেশদ্রোহী আসামী  কে এই সাঈদ চৌধুরী !

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাওলানা গোলাম মাওলা নকশেবন্দী নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে বিভ্রান্তকর পোস্ট দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে জাহির করা প্রতারক সাঈদ চৌধুরী থেকে সকলকে সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভান্ডারিয়া বাসী।
সাঈদ চৌধুরী একজন প্রতারক,চরিত্রহীন,লম্পট ও হত্যা মামলার আসামী।সাঈদ চৌধুরী মেট্টিক পাশ সে কোনো কালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা করেন নাই।ভান্ডারিয়া বিহারি স্কুল থেকে ১৯৮৯ সালে মেট্রিক পাশ করেন প্রতারক সাঈদ চৌধুরী ।ঢাকা কলেজে ১৯৮৯-১৯৯০ সেশনে ভর্তি হয়েছিল কিন্তু পড়াশুনা শেষ না করেই হত্যা মামলার আসামী হয়ে বিদেশে পাড়ি জমান প্রতারক সাঈদ চৌধুরী ।গ্রামের কিছু বেকার যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে নাম মাত্র অর্থ দিয়ে সাঈদ চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে জাহির করার জন্য তাদের দিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অনুরোধ জানান।তাদের কে দিয়ে প্রতারক সাঈদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছিলো মর্মে ফেইসবুকে পোষ্ট দিতে প্ররোচিত করে।এই পোষ্ট দেখার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতারক সাঈদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ও রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়রি করে।শাহবাগ থানার জিডি নাম্বর ৩০৫/২১ ও রামপুরা থানায় জিডি নম্বর ১২০৯ তারিখ-২২/১১/২২ ইং উক্ত জিডি ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ তদন্তের আবেদন করেন ও উক্ত মামলার তদন্ত চলমান।একই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে
সিআইডি’তে এব্যাপারে মিথ্যা পোস্ট দেওয়া একাধিক ব্যক্তি ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের নজরদারিতে রয়েছে।ডিবি কার্যালয়ে অনেকেই ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ও অনেক কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ও অনেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেক’কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক সাঈদ চৌধুরীর পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ না দেখাতে পারায় অনেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রকিয়াধীন রয়েছে।ইতিমধ্যে তাদের অনেকেই গা ডাকা দিয়েছে। উল্লেখ্য যে ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নে কোন চৌধুরী বাড়ি নাই।প্রতারক সাঈদ চৌধুরীর আসল নাম সৈয়দ ইয়াছিন আলি, পিতা সৈয়দ আফজাল হোসেন।প্রতারক সাঈদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।মামলা নং-১৯/১২(৯৩), সি,আর নং ৫১৯২/৯৩।নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে সে আমেরিকায় পাড়ি জমায়।অসৎ কিছু লোকের মাধ্যমে রাজনৈতিক ছত্রছায়া নেওয়ার জন্য নিজ স্ত্রীর-হত্যা মামলাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সে নিজের নাম ইয়াছিন পরিবর্তন করে সাঈদ চৌধুরী নাম ধারণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ও আওয়ামী লীগের পদ-পদবী পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।ডিজিটাল ড্রিম বাংলা ফাউন্ডেশন, ড্রিম বাংলা ফাউন্ডেশন,স্বপ্ন বাংলা ফাউন্ডেশন স্বাধীন বাংলা ফাউন্ডেশন,স্বাধীন বাংলা,সাঈদ চৌধুরী ফেসবুক ও পেইজ দিয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছে।সাঈদ চৌধুরী আমেরিকা প্রবাসী একজন প্রতারক।সে গ্রামের বেকার যুবকদের আমেরিকা নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান তার স্থানীয় এলাকাবাসী।দেশের বিভিন্ন মহিলার সাথে প্রেমের অভিনয় করে তাদের আপত্তিকর ছবি সংগ্রহ করে ব্লাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।ইদানিং সে ফেইসবুকে পোস্টে গোলাম মাওলা নকশেবন্দী তাকে কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নির্বাচিত করেছেন বলে বিভিন্ন নিকট আত্নীয় লোকের মাধ্যমে নগদ অর্থ দিয়ে পোস্ট দিতেছে।যা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন,বানোয়াট, ও বিভ্রান্তিকর।আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে এরকম কোন ব্যক্তির নাম নেই।বিষয়টি ইতিমধ্যে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টিগোচরে আনা হয়েছে। গোলাম মাওলা নকশাবন্দীর নাম কেন ব্যবহার করা হলো তা খতিয়ে দেখছেন আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।সাঈদ চৌধুরীর নিকট আত্নীয় গুলো দিনে দুই বেলা দুই মুঠো খেতে পারে না আর সে নিজেকে শিল্পপতি বলে জাহির করেন।প্রতারক সাঈদ চৌধুরী জীবনকে কখন ও কোনো আওয়ামীলীগ এর পোস্টে ছিলেন না ।সে একজন ভন্ড প্রতারক ।প্রতারক সাঈদ চৌধুরী হইতে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভান্ডারিয়ার সবস্তরের জনগন।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest