হাসান আরেফিন ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির নলছিটিতে রাতের আধাঁরে বিরোধীয় একটি সম্পত্তিতে বসতঘর নির্মাণ করে জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার সরই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জমি মালিক নুরুল ইসলাম হাওলাদার বাদী হয়ে ০৯ জনের নাম উল্লেখ করে নলছিটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সনে ওই গ্রামের ৩১১, ৩১২, ৫৬০, ৫৬১ ও ৫৮৭ খতিয়ানে নুরুল ইসলাম সাব কবলা দলিল মতে জনৈক মোতালেব হাওলাদার গং নিকট হতে ৭৪ শতাশং জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকেই নুরুল ইসলামের পরিবার ওই জমিতে বসতঘর ও বাগান তৈরি করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ২০১৯ সনে প্রতিবেশী আনসার আলী খান তার ভোগ দখলীয় সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে নুরুল ইসলামের সাব কবলা সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দলিল বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়। এরই কিছুদিন পর বিরোধীয় ওই জমিতে আদালত ১৪৪ জারি করলে আনসার আলী খানের পক্ষ থেকে সেটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করার পর আনসার আলী খান গত বুধবার গভীর রাতে দেশিয় অস্ত্র ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নুরুল ইসলাম খানের টিনসেট একটি ঘর ভেঙে ফেলে এবং তারা একটি নতুন ঘর নির্মাণ করে জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে জমি মালিক বাঁধা প্রদান করলে প্রতিপক্ষরা তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে জখম করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনসার আলী খান জানান, নুরুল ইসলাম খানের সাব কবলা দলিল মতে ওই খতিয়ানে মাত্র ২০ শতাংশ জমির মালিকানা রয়েছে। তিনি জোরপূর্বক ৭৪ শতাশং জমি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন। তাই তার সাব কবলা দলিল বাতিলের জন্য ইতোমধ্যে আদালতে মামলা করেছি, সেটি বিচারাধীন আছে। তার মালিকাধীন ২০ শতাশং জমি বাদে আমাদের জমিতে ঘর তোলা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ ব্যাপারে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দুপক্ষকেই শান্ত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিঘ্রই উভয় পক্ষের কাগজপত্রদি পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।