পদ্মা সেতু আমাদের সাহসের প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য সৃষ্টি- জয়পুরহাটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২২

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের সাহসের প্রতীক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য সৃষ্টি। তার সাহসেই এই ধরনের সেতু তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার হাজারো উদ্যোগের মাঝে এই সেতু অনন্তঃকাল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নজির হয়ে থাকবে।

বুধবার বুধবার (২২ জুন) দুপরে জয়পুরহাট পুলিশ লাইন্স স্কুল মাঠে শহীদ পুলিশ সুপার নজমুল হক পুলিশ লাইন্স হাইস্কুলের নামকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এসময় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আঃ বাতেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।

পরে এ উপলক্ষ্যে বিকাল ৪টায় এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একমাত্র তার পক্ষেই সব কিছু সম্ভব। মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের ভাগ্য এত ভাল যে, একজন মুক্তিযোদ্ধার নামের স্কুলে তোমরা পড়তে পারতেছ।

জেলা পুলিশ আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গী ও মাদক বিরোধী সমাবেশে ডিআইজি আঃ বাতেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জয়পুরহাট ১ আসনের সাংসদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. সামছুল আলম দুদু।

এ সময়ে আরও বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রহমান রকেট, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী,
সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা।

এদিকে, সদর থানার চকবরকত পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন ও পুলিশ লাইন্সের নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধে কর্নার গৌরবময় স্বাধীনতা’র শুভ উদ্বোধন শেষে বিকেলে সন্ত্রাস, জঙ্গী ও মাদক বিরোধী সমাবেশে জেলার শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তন ও অবৈধ কিডনি পাচার চক্রের প্রতারণার শিকার প্রায় ১৫জন অসহায়, দুস্থ ও অসুন্থ কিডনি দাতাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চট্রগ্রামের পুলিশ সুপার ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজমুল হক। তার বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তাঁর মেয়ে ডা. হাজরা শিরিন জয়পুরহাটে কর্মরত ছিলেন। তার জামাই ডাক্তার এম এ খালেক জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বাসিন্দা। মূলত মেয়ে ডা. হাজরা শিরিনের উদ্যোগে জয়পুরহাট পুলিশ স্কুলটির নামকরণে উদ্যোগ নেয়।

ইতিপূর্বে শহীদ পুলিশ সুপারে পরিবার এ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিশ লাখ টাকা অনুদান দেন। আজ আরো পনের লাখ টাকা ও একটি কম্পিউটার অনুদান হিসেবে দেন। এছাড়াও ডা. এম এ খালেক বলেন, যতদিন তার পরিবার বেচে থাকবেন ততদিন এ স্কুলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবেন আশা ব্যক্ত করেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest