খালখন্দে ভরা কুড়িগ্রামের রৌমারী মহাসড়ক।।

প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২২

খালখন্দে ভরা কুড়িগ্রামের রৌমারী মহাসড়ক।।

পথে প্রসূতির সন্তান জন্ম সহ চলছে নানা দুর্ঘটনা সাইফুর রহমান শামীম,, কুড়িগ্রাম।। খাল খন্দে ভরা কুড়িগ্রামের রৌমারী মহাসড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানিতে পরিণত হয় সড়কটিতে। যানবাহন চলাচল অনুপযোগী দীর্ঘদিন ধরে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবহন যাত্রী ও পথচারীদের। এতে প্রায় ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। এমন এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন শেফালী খাতুন (২৮) নামের এক প্রসূতি। শনিবার (৬ আগস্ট )রাতে এই প্রসূতির প্রসব ব্যথা ওঠে । এ সময় ভ্যানে করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা। খালখন্দে ভরা সড়কে গাড়ির ঝুঁকিতে রাস্তায় এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি ‌‌ । শনিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে জামালপুর (নন্দীবাজার) ধানুয়া জামালপুর রৌমারী দাঁত ভাঙ্গা সড়কের কুড়িগ্রাম অংশের রৌমারী উপজেলা শহরের ব্যাংকের সামনে পৌছেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির সরকার ও সম্প্রসারণ কাজ বন্ধ থাকলেও নজর নেই কারও। প্রসূতি শেফালী খাতুন ফরিজন হকের স্ত্রী। তার বাড়ি রৌমারী সদর ইউনিয়নের উত্তর পাড়া গ্রামে। শেফালী খাতুনের শশুর আজিমুদ্দিন জানান, প্রসব ব্যথা উঠলে শেফালী খাতুনকে নিয়ে ভ্যানে করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। উপজেলা শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে সড়ক ভাঙ্গাচুরা হয় গাড়িতে প্রচন্ড ঝাকি লাগে। এ সময় ওই ভ্যানেই রাস্তায় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন শেফালী খাতুন। তিনি অভিযোগ করে বলেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে সড়কটি বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও কারো নজর নেই। সড়কটি ভালো থাকলে আজ আমার নাতনির জন্ম সড়কে হত না। আমার ছেলের বউ অসুস্থ। রৌমারী উপজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন ২০১৮ সালে ৩১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য সরকার ৩৩২ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিলেও জনগণ এখনো এর কোন সুফল পাচ্ছে না। দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদ থেকে থানা মোড় পর্যন্ত এই সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। পায়ে হেঁটে চলায় মুশকিল। অটো ভ্যান চালক আব্দুল খালেক বলেন, এই রাস্তায় গাড়ি চালাবার গেলেই প্রত্যেক দিন গাড়ি নষ্ট হয়। আমরা গরীব মানুষ। রাস্তা ভালো না। বাসুম কিবা কইরা। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, রাস্তার মাঝে সন্তান প্রসবের কথা জেনেছি। এতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, সড়কের বেহাল বসার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় কে জানানো হয়েছে। ছাড়াও কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনেকবার বলা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন মাটি না পাওয়ার কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারকে কাজের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে চলতি মাসেই কাজ শুরু করবেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest