দেওয়ানগঞ্জে আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে চোখ ওঠা রোগ

প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২২

দেওয়ানগঞ্জে আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে চোখ ওঠা রোগ

ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ‘চোখ ওঠা রোগ’। চোখ ওঠা ব্যক্তির দিকে তাকালেই অপরজনও আক্রান্ত হচ্ছেন এ রোগে। এক পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে পরদিনই পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহজনিত এ রোগ ভাইরাসের কারণে ছোঁয়াচে হওয়ায় দেওয়ানগঞ্জে সর্বত্রই চোখ ওঠা ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ১০ দিন ধরে পৌরসভাসহ নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৮টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। চোখের এ ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে হাসপাতাল ও চোখের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। দেওয়ানগঞ্জের পৌর হাটবাজার, তারাটিয়া, বাহাদুরাবাদ, কাঠারবিল, সানন্দবাড়ী, কাউনিয়ারচর, বাঘারচর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায় চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বাড়ায় সংকট দেখা দিয়াছে চোখের ড্রপ এবং কালো চশমার। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ফার্মেসিতে গেলেও মিলছে না চোখের ড্রপ। এ সুযোগে একশ্রেণির অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী ফায়দা লুটছে। তারা ১১০ টাকা মূল্যের ড্রপ বিক্রি করছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা জানান, কোম্পানি থেকে ওষুধ সরবরাহ নেই, অর্ডার দিলেও ওষুধ দিচ্ছে না তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, চোখ ওঠা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ৩ থেকে ৭ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে এমনিতেই ভালো হয়ে যায় এ রোগ। ভয়ের কিছু নেই। এ ধরনের রোগ ৩-৪ বছর পরপর হয়। বাজারে ড্রপের স্বল্পতা রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest