নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কামরুলের হত্যাকান্ডের চারদিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২০

নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কামরুলের হত্যাকান্ডের চারদিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন

আবু মুসা স্টাফ রিপোর্টার : ক্যারাম খেলা নিয়ে দ্বন্ড এবং মনের ভিতর পুষে রাখা পঞ্জীভুত ক্ষোভ থেকেই হত্যা করা হয় রাজশাহী সাইন্স এন্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম ওরফে জাহিদকে। হত্যাকান্ডের চারদিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করে শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই তথ্য জানান। হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত সরকারী এনএস কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র মিনহাজ হোসেনকে গ্রেফতার করার পর এই হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে। ইতোমধ্যে মিনহাজ উদ্দিন হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সদর উপজেলার হালসা বাজারে একদিন ভ্যানে ওঠা নিয়ে মিনহাজ হোসেনকে দুটি থাপ্পর মারে কামরুল ইসলাম ওরফে জাহিদ। এরপর থেকেই মনের ভিতর পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বাড়তে থাকে মিনহাজের। গত ৫জানুয়ারী সন্ধ্যায় কামরুল ইসলাম ওরফে জাহিদের প্রেমিকা সোনিয়ার সাথে দেখা করানোর কথা বলে নবীন কৃষ্ণপুর গ্রামের ইদুর মোড় থেকে কামরুলকে ডেকে ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায় মিনহাজ। সেখানে মিনহাজ তার পকেট থাকা দা বের করে কামরুলের ঘাড়ে কোপ মারে। এতে কামরুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মাটিতে পড়ে যায়, এরপর উপযুপরি কুপিয়ে কামরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে সে। এঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেটি তদন্ত করছে সদর থানার উপ-পরিদর্শক সামছুজ্জোহা। এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান মিয়া, ডিএসবির ডিআইও-১ ইব্রাহিম হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান, সদর থানার ওসি তদন্ত ফরিদ হোসেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest