দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় মাসখানেক ভর্তি এই রোগী কে?

প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২২

দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় মাসখানেক ভর্তি এই রোগী কে?

বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় মাসখানেক ধরে অজ্ঞাতনামা এক রোগী শুয়ে আছেন। পুরো শরীর কম্বল দিয়ে ঢাকা। বিছানার এক পাশে প্রস্রাবের ক্যাথেটার ব্যাগ দেয়া আছে। মাথার কাছে খাবার বাটি ও পানির বোতল। রোগীটি কোন কথা বলতে পাছেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মেলে নি নাম- ঠিকানা কিংবা পরিচয়।

যেহেতু সাথে কোন স্বজন নেই, নিয়মিত পায়খানা-প্রসাব পরিস্কার না করায় দুর্গন্ধে অপর রোগীরাও থাকতে পারছেন না ওই ওয়ার্ডে। সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে।

প্রায় মাসখানেক ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তি কোনো নড়াচড়া করতে পারেন না এবং বাকশক্তিও নেই।

অজ্ঞাত এ রোগীর ফাইল দেখে জানা যায়, ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুমকি থানার এস আই মাহবুব মল্লিক আহত ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করান। ভর্তির কারণ হিসেবে দেখানো হয় অতিমাত্রায় শারীরিক দুর্বলতা।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে দুমকি থানার এস আই মাহবুব মল্লিক জানান, ডিউটি শেষে ফেরার পথে উপজেলার কার্তিকপাশা গ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিকে অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

অত্র হাসপাতালের ডাঃ এনামুল হক(আর এমও) বলেন, আমরা সমাজসেবা অফিসের হেল্প চেয়েছি এবং চিঠিও করেছি। এরপর তারা গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এসেছিল এবং বলল দেখি কি করা যায়। কিন্তু তারপর আর কোন খোঁজ নেয় নি।

অজ্ঞাতপরিচয় রোগীর ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা রয়েছে জানতে চাইলে হাসপাতালের সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা (অঃদাঃ) মেহেদী হাসান জানান,’২০২২ সালের অক্টোবরের ১০ তারিখ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে একটি নোটিশ হয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তির প্রথম প্রয়োজন হল চিকিৎসা। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে যখন অজ্ঞাত রোগীটি মোটামুটি একটু সুস্থ হবেন তারপর ঢাকার মিরপুরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে/ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিতে হবে।

এই সমাজসেবা কর্মকর্তা বলেন, আমি ইতিমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে দেখি অতিদ্রুত তার (রোগীর) সাথে থাকার জন্য একজন সুইপার টাইপের পরিচর্যাকারীর ব্যবস্থা করতে পারি কিনা।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান বলেন, বিষয়টি আমি জানি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করতেছি। দ্রুতই একটা ব্যবস্থা করা হবে।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest