নলছিটিতে গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা

প্রকাশিত: ৬:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯

নলছিটিতে গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা

নলছিটি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির নলছিটিতে বিরোধপূর্ণ একটি সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নিতে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে নলছিটি পৌর এলাকার পরমপাশা গ্রামের খান বাড়ির পাশে একটি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই বাগানে থাকা নানা প্রজাতির ফলদ ও বনোজ গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে পরমপাশা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল রানা’র পৈত্রিক সম্পত্তির ১৬ শতাংশ জমিতে একটি দেশীয় ফলদ ও বনোজ গাছের বাগান তৈরি করেন। ৪ বছর আগে তার ফুফু আলেয়া বেগমের ভাগের অংশের ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন বাগান পাশ্ববর্তী আশরাফ আলী খান। ৩ শতাংশ জমি কেনার পর থেকেই আশরাফ আলী খান ও তার পুত্ররা মিলে সোহেল রানার পুরো ১৬ শতাংশ জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছিলো। এনিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকদফা শালিস বৈঠক হলেও কোন সুরাহ হয়নি। গত ১৫দিন আগেও স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলরের মধ্যস্তায় বিষয়টি মিমাংসা করার চেস্টা করা হলেও তারা কোন সিদ্ধান্ত মানেনি। এরপর থেকেই বাগান মালিক সোহল রানাকে নানা হুমকী ধামকি দেয় আশরাফ আলী খানের পুত্ররা। এরমধ্যে গত শুক্রবার রাতে একদল দুর্বৃত্তরা ওই বাগানের কাঠাঁল, মেহগনি, সুপাড়ীসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকার সব গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দহে জমি মালিক সোহেল রানা শুক্রবার সকালে আশরাফ আলী খান তার পুত্র জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইব্রাহিম খানের নাম উল্লেখ করে নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করলে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সুব্রত দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ৪ বছর আগে এ জমি তার ফুফু আলেয়ো বেগমের কাছ থেকে আমরা কিনে নিয়েছি। তারপরেও সোহেল রানা অবৈধভাবে বাগান করে দখল করে রেখেছে। তাই আমরা জমি দখলে নিতে গাছ কেটে ফেলেছি।

এ ব্যাপারে নলছিটি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সুব্রত দাস জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


মুজিব বর্ষ

Pin It on Pinterest