৩ জনের মৃত্যুদন্ড ও পৌর কাউন্সিলরসহ ৮ আসামীর ৫ বছর করে কারাদন্ড এক লক্ষ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২০

৩ জনের মৃত্যুদন্ড ও পৌর কাউন্সিলরসহ ৮ আসামীর ৫ বছর করে কারাদন্ড এক লক্ষ টাকা জরিমানা

আরিফুল ইসলাম গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের একমাত্র ছেলে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত কিশোর আশিকুর রহমান সাম্য (১৪) হত্যা মামলার রায়ে ১১ আসামির মধ্যে তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামির মধ্যে একজন পৌর কাউনিসলর ও দুই মহিলাসহ আটজন আসামির প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দীলিপ কুমার ভৌমিক ১১ জন আসামির উপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসা জনিত কারণে শত্রুতার জের ধরেই মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। রায়ে দন্ডিত ফাঁসির আসামিরা হলো- শাহরিয়ার সরকার হৃদয়, রকিবুল হাসান সজিব ও মাহমুদুল হাসান জাকির। যাদের কারাদন্ড ও অর্থ হয়েছে তারা হলো- গোবিন্দগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, মাসুদ প্রধান সুজন, আল আমিন ইসলাম, রাবেয়া বেগম, আল আমিন, শিমুল মিয়া, রুনা বেগম ও জাহাঙ্গীর আলম। উল্লেখ্য,গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের নিম্ন আদালতে ৪০ দিন এবং গাইবান্ধায় ১৭ দিন শুনানী ও সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে ৬ জানুয়ারী আদালতে সর্বশেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত তারিখে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এ মামলার বিবরণে জানা গেছে,গত ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে গোবিন্দগঞ্জ শহরের বর্ধনকুঠি বটতলা মোড় এলাকার কমিউনিটি সেন্টারের পেছনের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাম্য’র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেসময় পুলিশ জানায়, ঈদের আগের রাতে সুকৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাম্যকে হত্যা করে ওই সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওইদিনই পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। সেসময় সাম্য গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওই ঘটনার পর সাম্যর বাবা পৌর মেয়র আতাউর রহমান বাদি হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় ওই খুনের মূল পরিকল্পনাকারি হিসেবে পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রায় হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাম্যে পিতা ও গোবিন্দগঞ্জের পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকার বলেন, তার প্রত্যাশা ছিল তার সন্তান হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। কিন্তু মাত্র তিনজনের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় তিনি এই রায়ে সন্তোষ্ট হতে পারেননি বলেই উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য আপিল করবেন। জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, এই রায় পুরোপুরি সন্তোষ জনক নয়। সেজন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আসামির পক্ষের অ্যাড. মিজানুর রহমান বলেন, এই রায়ে আসামিরা ন্যায়-বিচার প্রাপ্ত হয়নি। সুতরাং তারা ন্যায় বিচারের জন্য আপিল করবেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest