আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩টি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিত প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে   গোপালগঞ্জ-৩টি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিত প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী শেখ সেলিম ও সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খানের দলীয় মনোনয়ন প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া নির্বাচনে বিএনপি, ইসলামিক আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে
কাজী ওহিদ- গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি-
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুণ্যভূমি গর্বিত গোপালগঞ্জ জেলা। গোপালগঞ্জ জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। এ জেলায় প্রধান ফসল হিসেবে ধান,পাট,গম, মসুর,খেসারী কলাই, সরিষা,পেঁয়াজ,শীতকালীন সবজি,জলাবদ্ধ জমিতে ভাসমান সবজি এবং দেশীয় প্রজাতির মাছ প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয়ে থাকে। এছাড়াও বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারনে বৈচিত্রময় কৃষিতে গোপালগঞ্জ জেলা সমৃদ্ধ হচ্ছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি”র জন্মস্থান জেলা হওয়াতে এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার সমর্থক বা ভক্ত। মুকসুদপুর,কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া এ ৫টি উপজেলার সমন্বয়ে গোপালগঞ্জ জেলা গঠিত। গোপালগঞ্জ জেলায় সংসদীয় আসন ৩টি। টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার মোট ২টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালগঞ্জ-৩ আসন গঠিত। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন এবং কাশিয়ানী উপজেলার ৭টি মোট ১টি পৌর ও ২৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালগঞ্জ-২ আসন গঠিত। মুকসুদপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন এবং কাশিয়ানী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন মোট-১টি পৌরসভা ও ২৩টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গোপালগঞ্জ-১আসন গঠিত। গোপালগঞ্জ জেলায়-৩টি সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে যিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন তার বিজয় শতভাগ সুনিশ্চিত বললেই চলে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতির কর্মকান্ড খুবই কম বলেই চলে ।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর যারা বিগত দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মভূমি জেলা হওয়াতে তারা এ এলাকায় তেমন কোন উন্নয়ন করেনি। এ এলাকা ছিল বাংলাদেশ মধ্যে সবচেয়ে

অবহেলিত,নিপীড়িত ও নির্যাতিত। এক কথায় গোপালগঞ্জ ছিল বাংলাদেশের মধ্যে একটি অউন্নত জেলা। গোপালগঞ্জ জেলায় কোন রাস্তা-ঘাট,ব্রীজ কালভাট,বিদ্যুৎ, সুনামধন্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিল কারখানা ও উন্নয়ন মুলক সরকারী কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ছিল না। এ জেলার অধিকাংশ মানুষের যাতায়েত একমাত্র মাধ্যম ছিল বর্ষাকালে নৌকা পথে এবং শুকনা কালে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হতো। যাতায়েতের এছাড়া বিকল্প কোন পথ ছিল না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সাল এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দীর্ঘ ১৫ বছর একটানা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার ফলে নানা ক্ষেত্রে এই এলাকায় আশানুরুপ উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তা -ঘাট,ব্রীজ,কালভাট,বিদ্যুৎ,স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটেছে। গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়,শেখ সাহেরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল,শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু ইনস্টিটিউট ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র, পিটিআই, সুইমিংপুল ও জিমনেসিয়াম, মহিলা ত্রুীড়া কমপ্লেক্স,১০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ কন্দ্র, অ্যাসেসিয়াম ড্রাগস কোম্পানী লিমিটেড গোপালগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, প্রাণী সম্পদ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটসহ অসংখ্য উন্নয়ন মুলক কাজ করছে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার। যার সুফল গোপালগঞ্জ জেলা সহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি জেলার মানুষ আজ ভোগ করছে। এলাকায় তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন মিল কারখানা। আধুনিক উন্নয়নের সুবিধা পৌছে গেছে গ্রামে থেকে গ্রামে ।গ্রাম গুলো আজ শহরে রূপান্তিত হয়েছে। জনগনের শতভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, শিশু ভাতা,মাতৃত্ব কালীন ভাতা এবং অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের মাঝে অনুদান হিসেবে চেক প্রদানসহ সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জে ছিন্নমুলের অসহায় হতদরিদ্র হাজার হাজার গৃহীনদের জমিসহ গৃহ ঘরের বন্দোবস্তের মাধ্যমে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়ে এক দৃষ্টান্তকারী ইতিহাস সৃষ্টি করছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের ন্যায় গোপালগঞ্জ জেলায় দৃষ্টিনন্দিত ৫টি মডেল মসজিদ নির্মিত করায় এলাকার সাধারন ধর্ম পরায়ন মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচঞ্চলতা সৃষ্টি হয়েছে। দৃশ্যমান এই উন্নয়ন এবং নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা পেয়ে এলাকার সাধারন মানুষ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তথা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতার সহিত মহা আনন্দে এ জেলায় জীবন যাপন করছেন। গোপালগঞ্জ জেলার ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নারী পুরুষ, বৃদ্ধ, বণিতাসহ সর্ব স্তরের মানুষ মহান আল্লাহ পাকের নিকট সর্বক্ষন প্রার্থনা করেন জাতীর জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারেন। এই সকল উন্নয়নের কারনে আওয়ামীলীগের সুনিশ্চিত বিজয়ের কারন বলে লোকজন মনে করছেন।
গোপালগঞ্জ- (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) ৩ আসনে এ আসনে ভোটার সংখ্যা-২ লক্ষ ৮৯ হাজার ২শত ১জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৪৮,৪৩৪ জন ও মহিলা ভোটার ১,৪০, ৭৬৭ জন। এই আসন হতে মাদার অফ হিউম্যানিটি,গণতন্ত্রের মানুষ কন্যা, দেশরত্ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৭বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে প্রাণের চেয়ে প্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়ন চুড়ান্ত। অষ্টম বারের মত এ আসন হতে তিনিই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে এলাকার সাধারন মানুষ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।কোটালিপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া সহ সমগ্র বাংলাদেশে যে উন্নয়ন তিনি করেছেন এটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি ইতিহাস। দেশের প্রয়োজনে উন্নয়নের সার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবারো রাষ্ট্র্রীয় ক্ষমতায় আসা উচিত বলে এলাকার জনগণ মনে করেছেন।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩ শত ৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৮০,৯৩০ জন ও মহিলা ভোটার ১,৭৭, ৩৭৬ জন। এ আসন হতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ড.শেখ ফজলুল করিম সেলিম ৮ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এবারও এ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় চুড়ান্ত বলে ক্ষমতাসিন দলের অধিকাংশ দলীয় নেতৃনৃন্দ এবং এ আসনের সাধারন ভোটাররা জানিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ আসন হতে ড. শেখ ফজলুল করিম সেলিম
প্রচুর ভোটের ব্যবধানে নবম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে দলীয় নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেছেন । গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বলেন,বিগত আগষ্ট মাসে গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব নেতাকর্মীদের ডেকে তৃনমুল পর্যায়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে কর্মকান্ড এবং দেশের চলমান উন্নয়ন মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য দ্বারে দ্বারে যেতে বলেছেন।শেখ ফজলুল করিম সেলিম গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে ৮বার আওয়ামী লীগের পক্ষে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন । গোপালগঞ্জ জেলার ৩টি সংসদীয় আসনেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা বিগত নির্বাচনে প্রতিপক্ষের তুলনায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেটাই হবে- ইনশাল্লাহ।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৮৯,৩৭৯জন ও মহিলা ভোটার ১,৮৩,৭২৯জন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটক বিষয়ক মন্ত্রী,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বর্তমান সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান এ আসন হতে পর পর ৫বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর যাবৎ সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি এই সংসদীয় আসনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়নের পাওয়ার লক্ষে তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে গ্রাম গঞ্জে ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। নতুন কোন চমক না ঘটলে তার এবারও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রায় চুড়ান্ত বলে ধারন করা যাচ্ছে। মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঘদী ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুল বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডেন্ট মেম্বার জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ক্লিন ইমেজের একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ প্রিয় নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এবারও এ আসন হতে দলীয় নমিনেশন পাবেন। এছাড়া বিগত মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ঢাকা বিভাগের আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি সহ উপস্থিত কেন্দ্রীয় সকল নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে ফারুক খানের মনোনয়ন প্রাপ্তির স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করেন এবং তার পক্ষে সকলকে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহারিয়া বিপ্লবের সাথে আলাপ কালে মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি একমাত্র ব্যক্তি যিনি সার্বক্ষনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে লেগে থেকে গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাধারন মানুষের সাথে নির্ভীক ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে উন্নয়নের কাজ করেছেন এবং তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এজন্য এ আসনে তিনিই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য বলে তিনি দাবী করেছেন। মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ নিভেল মোল্যা ও সাধারন সম্পাদক জব্বারুল আলম মাহফুজ সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, মুকসুদপুর কাশিয়ানী এলাকার সাধারন মানুষের সাথে দীর্ঘদিন মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি পাশে আছেন।মুকসুদপুর কাশিয়ানীর মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলছেন। বিগত দিনের ন্যায় এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতিক মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি”র হাতে তুলে দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক খন্দকার মন্জুরুল হক লাভলু আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নের পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ মুকসুদপুর- কাশিয়ানী উপজেলা তথা এ আসনে গণসংযোগ করেছেন। কেএমএম মন্জুরুল হক লাভলু এর সাথে আলাপ কালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ -১ আসন হতে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও মুকসুদপুর,বরইতলা ও কাশিয়ানী বাস মালিক সমিতির সহ- সভাপতি মো: কাবির মিয়া আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসন হতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে সাধারন মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। এজন্য তিনি তার লোকজন নিয়ে মুকসুদপুর কাশিয়ানী এলাকার বিভিন্ন স্পটে প্রতিদিনই প্রায় গণসংযোগ করে চলছেন। এব্যাপারে মো: কাবির মিয়ার সাথে আলাপ কালে গোপালগঞ্জ-১ আসন হতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে গোপালগঞ্জের-৩টি সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় ভাবে প্রার্থী দেবে বলে জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসন বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করেছিলেন। এরপর হতে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি এই এলাকায় দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপি রাজনীতির কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার তিনি এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম খান ও সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম রাজু ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মশিউর রহমান মিন্টু ও সদস্য সচিব মাহফুজ হাসান এবং উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মো: জুয়েল মুন্সী ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রুইন মুন্সী সাথে নির্বাচন সংত্রুান্ত বিষয়ে আলাপকালে তারা জানান,সেলিমুজ্জামান সেলিম এই এলাকার একমাত্র নেতা যিনি আন্দোলন সংগ্রাম রাজপথে থেকে সার্বক্ষন নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। এ আসনে তিনিই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য এবং তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির ২জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান ও ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সস্পাদক ও জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা: এস,এম বাবর। শরীফ রফিকুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলার ৫টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার আহবায়ক কমিটি গঠন এবং পরবর্তীতে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের মাধ্যমে জেলাব্যাপি বিএনপির রাজনৈতিক কার্যত্রুম শক্তিশালী ও গতিশীল করেছেন বলে তিনি জানান। ১৯৯৮ সালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জেলার ৬৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বিএনপির পরিচয়ে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তখন তিনি গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হওয়াতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় পর ক্ষমতাসিন দলের রাজনৈতিক আক্রোসে চাপে প্রশাসনকে দিয়ে তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেন। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দায়িত্ব প্রদানে বঞ্চিত করে ছিলেন। উক্ত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য কড়া বিবৃতি প্রদান করে ছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। যাহা বাংলার বানী সহ বিভিন্ন দৈনিকে প্রচারিত হয়েছিল। ১/১১ সরকারের সময়ে বিএনপির রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে এবং কয়েক মাস কারাগারে বন্দী রেখে ছিলেন। উপরোক্ত রাজনৈতিক অবদানকে মূল্যায়ন করে দল এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ ২ আসন হতে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অপর দিকে ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা: এস,এম বাবর বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।গোপালগঞ্জ মাঠে পর্যায়ের থেকে বিএনপি রাজনীতি করে আসছেন বলে তিনি জানান।শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকেন। তিনি এবং তার সহধর্মিনী পেশায় ডাক্তার হওয়ার সুবিধার্থে বিভিন্ন সময় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্বল্প মূল্যে অপারেশন করে সাধারন মানুষের মধ্যে তাদের আস্থার জায়গা দখল করতে চেস্টা করেছেন। এ ছাড়া তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবে করোনা মহামারী ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাধারন মানুষকে অত্যন্ত কাছে থেকে সেবা দিয়েছেন। এজন্য এবারের নির্বাচনে গোপালগঞ্জে -২ আসন থেকে দল তাকে নমিনেশন দিবে বলে তিনি শতভাগ বিশ্বাস রাখেন। বিএনপি নির্বাচন অংশ নিলে সেক্ষেত্রে গোপালগঞ্জ -৩ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস,এম জিলানী বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে গোপালগঞ্জ জেলার বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে জানা গেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা তাসলিম হোসাইন সিকদার বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই এর দাবি,সকল নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দলের কিছু সদস্যদের নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। তা হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনে অংশ নিবে বলে জানিয়েছেন। ইসলামী আইনজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি এ্যাড: মিজানুর রহমান
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন বর্জন করায় ওই নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাড়িয়ে ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পাখা প্রতিকে এ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারও এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে এ্যাড: মিজানুর রহমান দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম জেনারেল সেক্রেটার মো: নুরুল ইসলাম লেলিনের নামও শোনা যাচ্ছে। এ্যাড: মিজানুর রহমান বলেছেন, গোপালগঞ্জ -১ আসনে চরমোনাই পীরের অসংখ্য অনুসারী রয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুকসুদপুর কাশিয়ানীতে যথেষ্ট শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি জনগণ সুস্ঠু ভাবে ভোট দিতে পারেন হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থীকে হারানো কঠিন হবে তিনি জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জ- ২ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে গোপালগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা তাসলিম হোসাইন সিকদার ও জেলা কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুস সামাদ গাজী এই ২জনের যে কোন একজন এ আসন হতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে মনোনয়নে নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার কথা শোনা যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে এ আসনে ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখ, ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান শেখ এর যে কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারেন বলে নাম শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া সংত্রুান্ত বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আমির প্রফেসর রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা গোপালগঞ্জ জেলা মজলিশে সুরা কমিটিকে নির্বাচন বিষয় এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত জানান নেই। সেহেতু গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেনি।
এখন এলাকার সাধারন মানুষের অপেক্ষার পালা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কোন দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। গোপালগঞ্জ জেলার ৩টি সংসদীয় আসনে কোন দলকে কে প্রার্থী হচ্ছেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest