দুমকিতে পিরতলা খালের জায়গা দখল করে স্থাপণা নির্মাণ

প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৪

দুমকিতে পিরতলা খালের জায়গা দখল করে স্থাপণা নির্মাণ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা শহরের থানা ব্রিজের উত্তর পাশে খালের পাড় দখল করে গড়ে ওঠা শতাধিক আধা পাকা দোকান, একতলা-দোতলা এমনকি তিনতলা অবৈধ স্থাপনা। প্রভাবশালী মালিকদের অবৈধ দখলের ওইসব খাস জমির দোকান ঘর, মার্কেট ও বিপনী বিতান ভাড়া দিয়ে বছরের পর বছর ভোগ-দখল করলেও প্রশাসন যেন নির্বিকার। দেখেও দেখছে না ভ‚মি প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে, ভূমি অফিসের একশ্রেণীর দূর্ণীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই একটা, দু’টা অস্থায়ী দোকান তোলার মাধ্যমে পুরো খালপাড় বেদখল হয়ে গেছে। দোকান মালিকরা তাদের নির্দিষ্ট দোকানের পেছন দিয়ে রেকর্ডিও খাল ভরাট করে যে যার মতো টিনের বেড়ার অভ্যন্তরে পাকান ভবন নির্মাণ করে গড়ে তুলেছেন বিশাল বিশাল দোকান, মার্কেটের পাকাভবন। স্থানীয় ব্যবসায়ি আলম মৃধা নামের এক ব্যাক্তি সম্প্রতি এমন একটি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিষেধ করা হলেও রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পিরতলা বাজারের পুরাতন ব্রিজের দক্ষিন পার্শ্বে ২নং খাস খতিয়ানের ১৯৬৮ নং দাগের খালপাড়ে ২০ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থ্য জায়গা দখল করে গত ৭/৮দিন থেকে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, ওই খাল পাড়ে দুই রুম বিশিষ্ট একটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দোকান ঘরের ৯০ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।স্থানীয় সচেতন মহল এর কেউ কেউ এবং সাংবাদিকরা সদ্য বিদায়ী ইউএনও অনামিকা নজরুলকে বারবার অবহিত করলেও রহস্যজনকভাবে তিনি একবারের জন্যেও ধারে কাছে আসেননি।খাল দখল নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি উলটো দখলদারদের ব্যক্তিগত রোষানলের স্বীকার হয়েছেন কয়েকজন সংবাদকর্মী।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এই দখলের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি চালক হালিম বিভিন্নভাবে গোপনে সমঝোতা করেছেন দখলদারদের সাথে।এর আগেও ওই দোকান ঘরের পশ্চিম পাশে কেএম সহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি খালপাড় দখল করে তিনটি টিনসেট ঘর তুলে দখলে নিয়েছেন। অথচ ওই খাল পাড়ে জলবায়ু প্রকল্পের অধিনে খাল খননের কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে আলম মৃধা বলেন, আমি খালের জায়গা দখল করে দোকন ঘর নির্মাণ করছিনা। আমার মালিকের জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। এভাবে খালপাড়ে অন্তত: শতাধিক ব্যক্তিমালিকানায় দোকান পাটের অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এমন দখল ভরাটে খালটি একেবারে অস্তিত্ব সংকটে পড়লেও তা যেন কেউ দেখেও দেখছে না।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest