হাকিমপুরে প্রধান শিক্ষক আতিয়ারের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকার বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৪

হাকিমপুরে প্রধান শিক্ষক আতিয়ারের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকার বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার নয়ানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ৪টি পদে কর্মচারী নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকার বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে ভূক্তভোগী কয়েকজন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বচ্ছ নিয়োগ দানের দাবী জানিয়েছেন।

গতকাল দুপুরে হাকিমপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী জাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন গত ১৬/১০/২০২২ইং সালে পত্রিকায় নয়ানগর উচ্চ বিদ্যালয়ে শুন্যপদে ১ জন অফিস সহায়ক পদসহ ৪টি পদে কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আমি অফিস সহায়ক পদে আবেদন করি। কিন্তু নিয়োগ পক্রিয়া বাতিল করে ২২/১১/২০২৩ইং সালে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেবারও বাতিল করে আবারও ০৭/০২/২০২৪ইং সালে একই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ফলে আমি প্রতিবারই ওই পদের জন্য আবেদন করি। বারবার বাতিল করার বিষয়টি জানার জন্য আমি প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে বলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি সাহেবের সাথে কথা বলেছি তিনি আমাকে জানিয়েছেন ১২ লক্ষ টাকার মাধ্যমে ওই পদে নিয়োগ প্রদান করা হবে। ওই পরিমাণ টাকা আমাকে যে দিবে তাকেই আমি অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করব। তখন আমি প্রধান শিক্ষককে বলি আমাকে ২দিন সময় দেন আমি আমার পরিবারের সঙ্গে আলোপ করে এসে আপনাকে বলব। এরপর আমি ৭/৮দিন পর তার কাছে গিয়ে নিয়োগের বিষয়ে আলোচনার জন্য স্বাক্ষী হিসেবে কয়েকজনকে সাথে করে নিয়ে যাই। তখন প্রধান শিক্ষক বলেন তোমার আসতে দেরী হয়েছে তোমার চাকুরী হবে না। তোমার বদলে আনারুলের মেয়ে মোছা. আখিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি তখন কোন উপায় না পেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার অনিয়ম দুর্নীতির বিচার দাবী করছি।
জাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, প্রধান শিক্ষক মো. আতিয়ার রহমান আয়া পদের জন্য মোছা. ববিতা আক্তার শারমিনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তার স্বামী মেহেদী হাসান হিরোর কাছে ১২ লক্ষ দাবী করেছেন। এছাড়া তিনি অন্যান্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করেছেন। প্রধান শিক্ষক ৪টি পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার এসব অবৈধ নিয়োগ পক্রিয়া বাতিলের জন্য স্থানীয় নুর মোহাম্মদ নুরুল নামে একজন ব্যক্তি দিনাজপুর আদালতে মামলা করছেন। যার নং- ৯২৪০। মামলাটি চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ ইসলাম আরও জানান, প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা করায় এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় তিনি বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাওছার রহমান ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন উর রশিদ অবগত আছেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest