ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ইসলামের এর প্রচেষ্টা নকল মুক্ত পরিবেশে জেএসসি ও জেডিসি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত।

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯

ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ইসলামের এর প্রচেষ্টা নকল মুক্ত পরিবেশে জেএসসি ও জেডিসি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত।

মো:ইলিয়াছ (ভোলা প্রতিনিধি ): ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফুল ইসলামের প্রচেষ্টা নকল মুক্ত পরিবেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শিশুদের এ পরীক্ষায় কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে অভিভাবকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।তবে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আশ্রাফুল ইসলাম এর কঠোর নজরদারিতে পরীক্ষার কেন্দ্র গুলোতে নকল মুক্ত পরিবেশ, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি । শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার ২টি ভেন্যুসহ ৪ টি কেন্দ্রে জেএসসির বাংলা এবং জেডিসির কুরআন মাজিদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল কেন্দ্রে মোট ১৫ টি বিদ্যালয়ের ৮০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহন করে ৭শ ৮০ জন। অনুপস্থিতি রয়েছে ২৮ জন। মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট ১৫ টি মাদ্রাসা থেকে ৬শ ৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহন করে ৬শ ৪৪ জন। অনুপস্থিত রয়েছে ১৮ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কেন্দ্র সচিব, হল সুপার সহ সকলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কক্ষ পরিদর্শন করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে দায়িত্ব পালন করেছেন।পরিক্ষার প্রথম দিনই অসুদ উপায় অবলম্বন করার কারনে দুই পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।বহিষ্কৃত পরিক্ষার্থীর মধ্যে একজন হলো চাঁদপুর সরকারি বিদ্যালয়ের এবং একজন বাংলাবাজার কোড়ালমারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।

পরীক্ষার শুরুর প্রথম দিনেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরীক্ষা কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কঠোর নিরাপত্তা অব্যাহত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো তজুমদ্দিনের সাংবাদিকদের নজর দাড়িতে রয়েছে। সাংবাদিকরা পরীক্ষা কেন্দ্রের এমন সুন্দর পরিবেশ অবলোকনে মুগ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।তবে পরিক্ষায় পর্যাপ্ত কেন্দ্র না থাকার কারনে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র দেওয়া হয়,এতে প্রাথমিক বিদ্যালয় দুইটির কোমলামতি শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার ব্যঘাত ঘঠছে।

তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহমেদ জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স থাকে। পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কেন্দ্র গুলোর বাহিরে ও ভিতরে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সজাগ রয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম আরও জানান, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা চলছে। নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা চলবে।প্রায় প্রতিটি হল সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত এবং পরিক্ষায় কোনো অসুদ উপায় অবলম্বন করার সাথে কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে দেখা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষাকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়টি যেমন ছিল, তেমনিভাবে তাদের বাবা-মা এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল বাড়তি উৎসাহ। পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত একঘণ্টা আগেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অভিভাবকরা চলে যান পরীক্ষাকেন্দ্রে।

আসন নম্বর খুঁজে নিয়ে সন্তানদের বসিয়ে দিয়ে তারা অপেক্ষায় থাকেন কেন্দ্রের বাইরে।এরপর পরীক্ষা শেষে সন্তানদের নিয়ে ফিরে যান বাড়িতে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যায়। তবে বাংলা প্রশ্নপত্র বেশ কঠিন হয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest