“তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রস্তাব করবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার”

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২০

আলোকিত সময় ডেক্সঃ তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রস্তাব করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, এমপি। সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্রর আয়োজনে ‘তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারে করণীয় শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘‘২০৪০ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্রিটিশ-আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি থেকে সরকারের ৯.৪৯ শতাশং শেয়ার প্রত্যাহার করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে’’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার ও তামাক কোম্পানিতে সরকারের অংশীদারিত্ব বিষয়টি সাংঘর্ষিক। তামাকের মতো ক্ষতিকর ব্যবসায় অংশীদার থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে অবিলম্বে তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি তামাক চাষীদের বিকল্প চাষাবাদের উদ্যাগ গ্রহণ এবং তামাক বিরোধী জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মাননীয় ডেপুটি স্পিকার। বৃহস্পতিবার (৩০.০১.২০২০) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় সংলাপে-২০২০ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, এমপি। সভাপত্বি ও সঞ্চালনা করেন সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র’র চেয়ারপার্সন জনাব আব্দুল আউয়াল। সুপ্র’র সাধারণ সম্পাদক জনাব মজিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আখতার, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান ও এনজিও ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক গকুল কৃষ্ণ ঘোষ। এছাড়া বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, গাজী টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য্য বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সুপ্র জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাবৃন্দ। সভায় ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন সুপ্র’র প্রকল্প কর্মকর্তা জায়েদ আহমেদ সিদ্দিকী। সভায় বক্তারা বলেন, তামাক অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। অসংক্রামক রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫ লক্ষ ৭২ হাজার মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে শুধু তামাকজনিত রোগের কারণে মারা যায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার। তাই এ খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়। এছাড়াও তামাক খাতে সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তামাকজনিত রোগে চিকিৎসা ব্যয় ৩০,৫৬০ কোটি টাকা, অথচ তার বিপরীতে রাজস্ব আয় ২২,৮১০ কোটি টাকা। এরকম ক্ষতিকর ও অলাভজনক খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক। ক্ষতিকর ও অলাভজনক তামাক খাত থেকে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উচিৎ অবিলম্বে ক্ষতিকর এই খাত থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest