মোঃ হাসিম উদ্দিন, আঞ্জলিক প্রতিনিধিঃ
কদিনের ব্যবধানে যেন প্রকৃতি তার হৃদয়ের জমানো নৈস্বর্গিক সকল সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী আশুড়ার বিলে। আপন সাজে সেজেছে বিলটি। বিলের বিস্তৃর্ন এলাকাজুড়ি লাল পদ্ম, শাপলা, কচুরীপানার সাদা ফুলের চাদরে মোড়ে গেছে বিলের পানি। অতিথি পাখিদের কিচির মিচির শব্দে মুখোরিত হয়ে উঠেছে বিলের চারিদিক।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের থেকে মাত্র হাফ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত উত্তর বঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি খ্যাত নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান ও আশুড়ার বিল। যার আয়োতন প্রায় ৩শ ৬০ হেক্টর। দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারের দখলে থাকা বিলটি উপজেলা প্রশাসন দখল মুক্ত করে বিলের পানি বৃদ্ধির জন্য নির্মান করে ক্রস ড্যাম, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে প্রায় ১ বছর আগে বিলে নির্মান করে আঁকা বাঁকা কাঠের সেতু । সেই থেকে আশুড়ার বিলে পর্যটকদের পদচারনায় মুখোরিত হয়ে উঠে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ভাবে পর্যটক আগমন নিষিদ্ধ করা হয় এই বিলে। জনসমাগম বন্ধ হওয়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই বিলটি তার রুপ পরিবর্তন করে অপরুপ নতুন সাজে সেজেছে। লোকসমাগম না থাকায় দেখা দিয়েছে জীব বৈচিত্রের অপরুপ সৌন্দর্য। নির্ভয়ে বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখি বিচরন করছে বিলের চারি দিকে। শাপলা, পদ্ম ও কচুরীপানার ফুলে ফুলে ভরে গেছে বিলের পানি। শুনসান ও পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মোহিত করেছে বিলের চারিদিক। বিলের জীববৈচিত্র ও প্রকৃতি যেন বলছে আমাদেরকে কি এভাবেই একা থাকতে দেয়া যায়না?
সামাজিক বনবিভাগের নবাবগঞ্জ বিট কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান- করোনার ভাইরাসের কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সম্প্রতি জাতীয় উদ্যানে পর্যটক নিষিদ্ধ হওয়ায় বাধা বিহীন প্রকৃতি নিজেকে মেলে ধরতে পারছে। ফলে বন ও জীববৈচিত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বন ও জিববৈচিত্র রক্ষায় নবাবগঞ্জ বিট অফিস নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।