কুয়াকাটায় প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ

প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২০

কুয়াকাটায় প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ

আবুল হোসেন রাজুঃ কুয়াকাটায় প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে ।এতে পাঁচ গ্রামের দুই হাজার একর জমির বীজতলা নষ্ট হবার উপক্রম দেখা দিয়েছে। পচঁন ধরেছে সবজী ক্ষেতে। কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর। আমন মৌসুমে চাষাবাদ বিঘিœত হবার শংকা দেখা দিয়েছে। এমন অসংখ্য অভিযোগে কুয়াকাটা পৌর শহরের ‘কচ্ছপখালী খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ফলে কৃষকের সর্বনাশ হওয়ার কথা জানিয়েও খালটি পুনরুদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কুয়াকাটা পৌর শহরের কচ্ছপখালী খালের বাঁধে ঘন্টাব্যাপি দাঁড়িয়ে কচ্ছপখালী খাল পুনরুদ্ধার কমিটির ব্যানারে দেড় শতাধিক কৃষক মানববন্ধনে অংশ নেয়। এসময় কৃষকদের হাতেও মুখে বলছিল ‘খাল বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও’।‘স্বার্থনেষী মহল নিপাত যাক”। ‘কচ্ছপখালী খালের ৩টি বাঁধ কৃষকদের সর্বনাশ”। ইত্যাদি এমনসব ¯েøাগান সম্মলিত ফেষ্টুন, ব্যানার নিয়ে কুয়াকাটায় শতাধিক ভুক্তভোগী সাধারণ কৃষক রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রবাহমান কচ্ছপখালী খালে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল একাধিক স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় নবীনপুর, তুলাতলী, আজিমপুর, মুসুল্লীয়াবাদ, দোবাসীপাড়া ও কচ্ছপখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় দুই হাজার একর জমির বীচতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে গোটা এলাকায়। প্রবাহমান খালে ভূমিহীন বন্দোবস্ত বাতিলসহ খালের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচলের দাবী জানায় ভুক্তভোগী এসব কৃষকরা। নবীনপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক দুলাল ফকির জানিয়েছেন,গত কয়েক বছর ধরে খালটি পুনরুদ্ধারে একাধিকবার আবেদন জানালেও রহস্যজনকভাবে ভূমি প্রশাসন কৃষকদের দাবী আমলে নিচ্ছে না। এমন অভিযোগের কথাও জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষকরা। কচ্ছপখালী খাল পুনরুদ্ধার কমিটির সভাপতি শাহজাহান মৃধা বলেন, ভূমিহীন সেজে সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া হাওলাদার ১৯৮০ সালে প্রবাহমান কচ্ছপখালী খালটি বন্দোবস্ত নেয়। ১৩ কিঃমিঃ ওই খালটির ৩ কিঃমিঃ দখল করে ৩টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় জলাব্ধতায় দুর্ভোগে রয়েছে ওই এলাকার শতাধিক পরিবার।
এসব বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার রেকর্ডিও সম্পত্তির মধ্যে খাল, আমি ওই খালে মাছ চাষের জন্য বাঁধ দিয়েছি। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে এমন অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা জানিয়েছেন, তাকে মৌখিকভাবে কৃষকরা জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে খালটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়া হবে
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মো.শহিদুল হক বলেন, কৃষি অফিসারকে সরেজমিনে পাঠানো হবে। প্রবাহমান খালগুলো পুনরুদ্ধারে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest