কনকনে ঠান্ডায় আবারো জুবুথুবু উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ l

প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২১

কনকনে ঠান্ডায় আবারো জুবুথুবু  উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ l

সাইফুর রহমান শামীম ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ২৬.০১.২০২১
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার দিনভর সুর্যের দেখা না মলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
এর আগে গত তিনদিন ধরে দিনের বেলা সুর্যের দেখা মিললেও রাত ৮ টার পর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে পড়েছে প্রকৃতি এবং তা অব্যাহত ছিল সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সুর্যের দেখা। কুয়াশায় ঢেকে আছে প্রকৃতি।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন সুবল চন্দ্র সরকার জানায়, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়েয় বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হয়ে পড়ছে বোরো আবাদ।
কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক আরমান আলী জানান, এই ঠান্ডায় এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার উপর পানিতে নেমে রোয়া লাগানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক আলম মিয়া জানান, গত কয়েকদিন রাতের বেলা ঠান্ডা বেশি থাকলেও দিনে তেমন ঠান্ডা ছিল না। কিন্তু এখন যে অবস্থা গরম জামা কাপড় গায়ে লাগিয়ে রিক্সা নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু টেকা যাচ্ছে না । শিরশির বাতাসে জামা-কাপড় ভেদ করে ভিতরে ঢুকছে।

অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাতপাতালগুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীত জনিত রোগে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৫ জন ডায়রিয়া ও ৬ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে গত ১৫ দিন ধরে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি বলে জানান তিনি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest