নরসিংদীর ডিসি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এঁর কর্ম জীবনের গৌরবময় ২০ বছর l

প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১

নরসিংদীর ডিসি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এঁর কর্ম জীবনের গৌরবময় ২০ বছর l

নরসিংদী প্রতিবেদক : রাতের তারা গুলোর ঝিক ঝাক অালো আধার নৈঋতে রূপ ঠেকে চারপাশ কতোটা সুন্দর করে তা কেবল একজন রাতের অভিযাত্রীই অবলোকন করেন,
তারা গুলো বড্ড অভিমানী দিবসের শুরুতে হাড়িয়ে যায় আবার রাতে অর্ধেক তার দৃশ্য অর্ধেক তার আড়ালে, অনেক তারা র গল্প শুনেছি, দেখেছি উজ্জ্বল হাসি এমনকি ঝড়ে পরতেও দেখেছি কেবল দেখিনি সুস্পষ্ট হাসির পেছনের মহৎ কর্ম ও ত্যাগ তিতিক্ষা কে, তেমনি একটি তারার অব্যক্ত কিছু কথা।

তুমি যদি জিততে চাও তাহলে তোমাকে নির্মম হতে হবে। অভিযানে বেরিয়ে দলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযান বাতিল হয়না, অসুস্থকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই উপায় না থাকলে তাকে ফেলে রেখেই এগোতে হবে। এক্ষেত্রে দয়ামায়া ইত্যাদি ব্যাপারগুলো খবই প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। কোনও কোনও মানুষ জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সময় এমনই কঠোর হন। তাদের নিষ্ঠুর বলা হয়, ইতিহাস ওইসব মানুষের জন্য শেষ পর্যন্ত জাযগা রাখে।

জীবনকে জয় করতে যেমন প্রয়োজন জীবনের সঠিক মহত্ত্ব বুঝা তেমনি মানবসভ্যতার ইতিহাসের সারথি হতে একজীবনে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন মনুষ্যত্বের বিকাশ,প্রত্যাশা ও কর্মের আপেক্ষিকতার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, সততা ও মানবতার বিস্তৃতি বৃদ্ধি এবং নিজ মাতৃভূমির প্রতি ভালবাসায় পূর্ণ আস্থা, সকালটা যেমন বলে দেয় পুরোটা দিবসরে বার্তা তেমন সন্ধ্যায় রক্তিম আলোয় চারপাশ আলোকিত করে হাড়িয়ে যায় অসাধারণ সুন্দর একটি দিবস যা পেতে অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন মাসের পর মাস।

কিছু মানুষ শ্রী গণেশের মত, মা দূর্গার চারপাশে পাক দিয়ে যে জগত দেখে তাতেই তৃপ্ত আর কিছু শ্রী কার্তিকের মত সারা পৃথিবী ঘুরে আসে অথচ কি দেখে তা তারাই জানে না,কারন কেউ কেউ ক্ষুদ্রের মধ্যে বৃহৎ কে খুঁজে আবার কেউ বৃহৎ এর মধ্যে ক্ষুদ্র কে তফাতটা হলো ক্ষুদ্রের মধ্যে বৃহৎ কে জয় করার সমীকরণটা বৃহৎই হয় তেমনি বৃহৎ এর মধ্যে ক্ষুদ্র কে জয় করার সমীকরণটা ক্ষুদ্রই, অামরা আমাদের সকল স্তরে সকল স্হানে যদি ক্ষুদ্রের মধ্যে বৃহৎ কে জয় করার চেষ্টা করি তবে বৃহত্তর পরিবর্তন আবশ্যক।

যদি ব্যক্তি থেকে সৎ কর্মের চর্চা শুরু করি তবে তা সমাজ অতঃপর রাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত হবে তাই দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত সোনার বাংলাদেশ পেতে তৃণমূলে সততা নির্ভর কর্মজীবন গড়তে কর্মকর্তা/ কর্মচারী দের সঠিক পরিচর্চা দিতে হবে কেননা এখান থেকেই যে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পবিত্র কর্ম জীবনের শুরু আর এই স্হানটিতে যথার্থ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।

যিনি বিশ বছর পূর্বে প্রিয় দেশ গড়ার স্বপ্নে প্রশাসনের পবিত্র কর্মে নিযুক্ত হন অতঃপর প্রতিটি স্তরের পবিত্র দায়িত্বটুকু সৎ ও একটি মহৎ আদর্শ নিয়ে সুচারু কর্মকৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের প্রতি প্রবল অনুগত্য হযে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইতিমধ্যে গড়েছেন ইতিহাস, নরসিংদীর মানুষ গুলোর আস্থা ও ভালবাসা অর্জনের ইতিহাস।

ইতিমধ্যে তিনি পুরুস্কৃত হয়েছেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক বিভিন্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো মহামারী করোনা জনিত বৈশ্বিক বিপর্যয়ে মানবতার প্রশ্নে সকল শ্রেণীর মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শক্ত হাতে বিপর্যয় কে প্রতিহত করে অলিখিত ভাবে পেয়েছেন “মানবতার ফেরিওয়ালা ” উপাধি।

যারা উনাকে চিনতে পারেনি তারা সমালোচনা করতে দ্বিধাবোধ করবেনা ঠিক, বলবেন হয়তো ডিসি মেডাম অনেক রাগী মেয়ে, কর্মের খাতিরে কোন ছাড় দেন না, অভিযোগ অনিয়মের ব্যাপারে আপোষহীন সবাইকে কর্মতৎপরতার বিষয়ে সুস্পষ্ট কঠিন একজন মহা বীর সেনানী। একবারও উনার মতো করে দৃষ্টি দিয়ে সৎ কর্ম জীবনের আনন্দটুকু উপলব্ধি যারা বুঝতে পারিনি, তারা উনার মধ্যে বর্তমান নিগুঢ় দেশপ্রেম কে উপলব্ধি করতে পারবেনা।

অনেকেই বলে নরসিংদীর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক ডিসি মেডাম। এই ক্ষুদ্র প্রতিযোগিতায় এনে ছোট করবো না বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক কে। তিনিই একমাত্র জেলা প্রশাসক যিনি দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে নিজকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, মানবতার প্রশ্নে কর্ম দায়িত্বের গন্ডির বাহিরে এসে দেখিয়েছেন মানবিকতা, নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধিতে গড়ে তুলেছেন জনবান্ধব জেলা প্রশাসন।

কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধিতে দর্শন পরিদর্শন পর্যবেক্ষণ করেছেন সরকারি সকল দপ্তর কর্মে জবাবদিহিতার আওতায় এনেছেন এই জেলার রাষ্ট্রিয় সকল স্তর কে উনার নিখুঁত কর্মের ছুঁয়া পায়নি প্রশাসনের এমন কোন শাখা নেই।
তিনি চেয়েছেন বর্তমান কে তৈরি করতে হবে সূর্যের ন্যায় কলঙ্কহীন ভাবে, মানুষ হতে সময় লাগবে জানি কিন্তু মনুষ্যত্ব বিকাশের চেষ্টা করি তবেই আমরা আমাদের মান্যবর স্যার এর সঠিক রাষ্ট্র দর্শন কে যথার্থ চিনতে পারবো ও চর্চা করতে পারবো।

বিশ বছরের চাকরি জীবনে কোন ভূল কাজ জ্ঞান প্রসূত তিনি করেননি, সরকার এর অনুগত্যে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন সততার সাথে একটা শিশু কে আমরা সবাই নিষ্পাপ বলি এটা সত্য যে শিশুর মধ্যে কোন পাপ থাকেনা এবং তাঁরা আরেকজন নিষ্পাপ ব্যাক্তির প্রতি আকর্ষিত হয়। এটা কেউ বলতে পারবেনা কেন হয়তো এটা অতিপ্রাকৃত ব্যাপার শিশুরাও আপনাকে ভালোবেসে সম্মান করেন তারাও আপনার পবিত্র সৎ জীবনকে চিনতে ভুল করেন না।

পিতা কিংবা স্বামীর বাড়ির মায়া ত্যাগ করে দেশের স্বার্থে চাকরি করেছেন পুরো বাংলাদেশ জুড়ে, যে স্হানেই কাজ করেছেন সেখানটাকেই নিজের বাড়ি মনে করেছেন কারন আপনি পুরো বাংলাদেশের সন্তান যেমনটা ছিলেন আপনার মরহুম পিতা ( আল্লাহ উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের স্রেষ্ঠ আসনটিতে অধিষ্ঠিত করুন) মাতৃত্বের মায়া আপনার পবিত্র কর্ম জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি, দূর দূরন্তে থাকা আপনার গর্বিত স্বামীর ভালবাসা আপনার পবিত্র কর্ম জীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি, অনেক সুখ আনন্দের জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন একটি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে ও দেশের মানুষের জীবনমান বৃদ্ধির স্বার্থে। একটি সার্থক মহান জীবনের অধিকারী আপনি, নরসিংদীর অনেক নারীর অনুকরণ আপনি আদর্শ আপনি। আপনি সকল নারীর অলংকার ও পুরো বাংলাদেশের অহংকার। আপনার তুল্য কেবলই আপনি।

অনু লেখনি :বোরহান মেহেদী


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest