ঢাকা ২৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২১
মোবারক হোসেনঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল ছিদ্দিক কর্তৃক ব্যবসায়ীদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজার সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত সোমবার (৩০আগস্ট) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সঙ্গীয় আনসার বাহিনী নিয়ে কেশরগঞ্জ বাজারে গিয়ে আকস্মিকভাবে ফুটপাত দখল মুক্ত করার অজুহাতে অতর্কিত অভিযান শুরু করেন।ঐসময় দোকানীদের সামনে থাকা মোটর সাইকেল, চা স্টলের কেটলি, গ্লাস, মনোহারী দোকানের মালামাল, হোটেলের জ্বলন্ত গ্যাস সিলিন্ডার লাথি দিয়ে উপরে ফেলে দেয়। একইসাথে একটি জুয়েলারী দোকানের সামনে পথচারীর মোটরসাইকেল রাখার অজুহাত তুলে জুয়েলারী দোকান কর্মচারী ও পথচারীদের উপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ করেন।
ইউএনও’র বেপরোয়া লাঠিচার্জ ও নির্যাতনে বাদীহাটী এলাকার চা দোকানী রাসেদ (৩০) রক্তাক্ত জখম হয়। এভাবে মাত্র ২০/২৫ মিনিটে অন্তত্য ১০/১৫ দোকানী ও দোকান কর্মচারী আহত হয়। এ ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। ইউএনও’র আকস্মিক বেপরোয়া নিলর্জ্য নির্যাতনে অসহায় ও নিরীহ ব্যবসায়ী রক্তাক্ত আহত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সদসস্যদের মাঝে মুহুর্তে পৌছে গেলে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে কেশরগঞ্জ বাজারে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করে। হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ বলেন, তার দোকানের সামনে বিক্রিযোগ্য গ্যাসের চুলা ছিল। এটা দেখে ইউএনও তার সাথে থাকা আনসারদের বলেন, ওকে ধরেন।আমি মাফ চেয়েও রক্ষা পাইনি। আনসার সদস্যরা গ্যাসের চুলা ও দোকানের সামনে থাকা পথচারীর মোটর সাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ করে।
মানববন্ধনে বাজার কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা (অবঃ সার্জেন্ট) আব্দুুল খালেক বলেন, ইউএনও গত সোমবার আকস্মিকভাবে বাজারে উপস্থিত হয়ে নিরীহ দোকান মালিক ও কর্মচারীদের উপর যে হামলা চালিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তিনি এই হামলা, ভাংচুর ও ক্ষয়ক্ষতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা নিরীহ, নিরীহ ব্যবসায়ীদের উপর যেভাবে হামলা, নির্যাতন ও ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে আমরা তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইউএনও আশরাফুল ছিদ্দিক এর বিচার দাবি করে আরো বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা ইউএনও এর বিচার দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেব। এরপরও বিচার না হলে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও এবং কেশরগঞ্জ বাজারের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার আল্টিমেটামও দেন।
এদিকে ইউএনও’র হাতে নির্যাতিত এক চা দোকানী বলেন, ইউএনওকে নিরাপত্তা দিতে সরকার আনসার বাহিনী দিয়েছে। সেই আনসার বাহিনী দিয়ে অন্যায়ভাবে সাধারণ ব্যবসায়ীকে পেটানো হচ্ছে। তিনি সহ ঐ সব আনসার বাহিনীর সদস্যদের বিচার দাবি করেছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনে যেভাবে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST