ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২
নলছিটি প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। নানা স্থানে গাছ উপড়ে বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ পড়ে থাকায় অভ্যন্তরিণ সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার থেকে জেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। মোবাইল ফোন ও ওয়াইফাই সংযোগও বন্ধ রয়েছে।
ঝালকাঠিতে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম জানিয়েছে, ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের আমিরাবাদ এলাকায় ৩৩ হাজার কেভি লাইনের ওপর গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। এ ছাড়া সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো মেরামতে কাজ চলছে।মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে জেলা সদরসহ চার উপজেলার সদর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে তাদের অন্তত দুই দিন সময় লাগবে।
ঝড়ের প্রভাবে সুগন্ধা ও বিশখালী নদীতে অন্তত তিন থেকে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলা সদরের দিয়াকুল কিস্তাকাঠি, কেফায়েত নগর লঞ্চঘাট এলাকার সবুজবাগান, বারইকরণ, ভবানিপুর, রাজাপুর উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া, বড়ইয়ার পালট এলাকা, কাচারীবাড়ি, কাঠালিয়ার শৌলজালিয়া, কচুয়া, সদর এলাকা, আমুয়াসহ অন্তত পঁচিশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কৃষি ক্ষেত, কয়েকশত মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। গাছপালা ভেঙে রাস্তার উপরে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে অন্তত শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে অন্যান্য জেলার মতো ঝালকাঠিতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST