প্রেমের টানে নেপালী তরুণী এখন টাঙ্গাইলের সখীপুরে

প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০

প্রেমের টানে নেপালী তরুণী এখন টাঙ্গাইলের সখীপুরে

সিরাজুস সালেকীন সিফাত, (সখীপুর) টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ প্রেমের টানে নেপাল থেকে এবার টাঙ্গাইলের সখীপুরে এসেছে সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের এক তরুণী। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের প্রবাসী ছেলে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ওই মেয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হয়েছেন। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তাঁর নাম রাখা হয়েছে খাদিজা আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের ওই তরুণী প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়া একটি কোম্পানিতে কাজ করার সময় নাজমুলের সঙ্গে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১ ফেব্রুয়ারি তাঁরা বাংলাদেশে আসার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন।
কাকঁড়াজান ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধনকারী ( কাজি) শফিউল ইসলাম বলেন, তাঁরা নেপালের আদালতেও বিয়ে করেছেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আমাদের কার্যালয়ে তিন লাখ টাকা দেন মোহর সাব্যস্ত করে ছেলের অভিভাবকের উপস্থিতিতে তাঁদের কাবিন হয়।
নাজমুলের বাবা হুমায়ুন কবির জানান, আমার ছেলের বউ খাদিজা বাঙালি নারীর মতো বাড়িতে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় সানজু কুমারী খাত্রী থেকে তাঁর নাম রাখা হয়েছে খাদিজা। সে বাঙালির পোশাক শাড়ি পরলেও ভাষাগত কিছু সমস্যা আছে। বাংলা ভাষা স্পষ্ট করে বলতে পারে না। ফলে আমাদের বুঝতে একটু অসুবিধা হয়।নাজমুল হোসেন বলেন, নেপালের কাঠমুন্ডু শহরেই মেয়েটির বাড়ি। সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মেয়েটি তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদিজা আক্তার নেপালি ভাষায় বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ তাঁর কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে সে অনেক ভালোবাসে। সে আর নেপালে ফিরে যাবেনা বলেও জানায়।কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম জানান, শুনেছি নেপাল থেকে একটি মেয়ে আমার ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এসেছে। মুসলমান হয়ে বিয়ে করে দিব্যি ঘর সংসারও করছেন। সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির রবিবার বিকেলে বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নেপালী মেয়ের বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের সখীপুরে আসার খবরটি একটু আগে জেনেছি। এখন ভালো করে খোঁজ খবর নেবো।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest