মোঃ সাগর মল্লিক বাগেরহাট প্রতিনিধি :- বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের আমজাদ হোসেন শেখ খাজুরা মৌজার ভিপি লিজ কেস ২১ (ক) /৭৬-৭৭ নং যাহার এস এ খতিয়ান নং ৬৫৫,৬৬৬,৮৫৫ ও ৮৫৬ দাগ নং ৯৮০,৯৭৮,৯৭৭/১১৭০ জমির পরিমান ১.০২ একর জমি ইজারা গ্রহন করিয়া জমির এক পার্শ্বে ঘর বাড়ি নির্মান করিয়া স্ত্রী পরিবার নিয়ে ভোগ দখলে বসবাস করে আসছে ৩যুগ। অন্য পার্শ্বে চাষাবাদ করিয়া সংসারের খরচ যোগায়। এই পরিবারের আয়ের উৎস ও শেষ সম্বল সরকারী এই জমি টুকু। আর সেই জমি বেদখল হলে দূর্বিসহ জীবন যাপন করা লাগবে এই পরিবারের। আমজাদ হোসেন শেখ এর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ ২ পুত্র রমজান শেখ,নুরুজ্জামান শেখ, ১ কন্যা স্বপ্না বেগম ও স্ত্রী নুরজাহান বেগম সম্পূর্ণ খাজনা পরিশোধ করিয়া ভোগ-দখলে থাকাবস্থায় অত্র এলাকার ভূমি দস্যু দেলোয়ার শেখের পুত্র শরিফ শেখ, রহমান সরদারের পুত্র কেরামত আলী সরদার এবং তিলক গ্রামের আহম্মদ আলীর পুত্র নওশের আলী শেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ ভূমি দস্যুরা অবৈধভাবে বাড়ী দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দখল প্রতিহত করায় ভূমি দস্যুরা ভূক্তভোগী পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। রমজান শেখ জীবন নাশের হুমকি পেয়ে ভীত হয়ে রুপসা থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। যাহার নং ১০৮/১৯ তাং ৩/১১/২০১৯ ইং। ঘটনা তদন্তপূর্বক ন্যায় বিচারের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) মামলা আকারে আদালতে প্রেরণ করেন। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ভূমি দস্যুরা ছিনতাই মামলার আসামী যার নং ৬৭/১৯ (এফ) যাহা বাগেরহাট আদালতে বিচারাধীন। একাধিক সুত্রে জানা যায়, এই ভূমি দস্যুরা এলাকায় অন্যের জমি জবরদখল, ছিনতাই,অন্যের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরির অভিযোগ আছে। ইতিপূর্বে এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক জন্মভূমি,দৈনিক প্রবাহ, দৈনিক আজকের তথ্য ও দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এদের আধিপত্য বিস্তারের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পাইনা। এব্যাপারে শরিফ শেখ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। আমরা কেহই এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত নই।