শহিদুল ইসলাম সোহেল,ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শামসুর রহমান খান শাজাহান সৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান,পুরষ্কার বিতরণসহ নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। উপজেলার লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের সিদ্দিখালী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে আজ (৭মার্চ) শনিবার বেলা ১১ ঘটিকায় শামসুর রহমান শাহজাহান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।এসময় শাহজাহান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্যে স্থায়ী ভবন নির্মানের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। শামসুর রহমান খান শাহজাহান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,ঘাটাইলের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান রানা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আ ন ম বজলুর রহিম,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান(সামু),উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা সুলতানা শিল্পি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন সরকার, কৃষক লীগের ঘাটাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন (বাবু), আওয়ামী লীগ নেতা আসিফ সিদ্দিকী প্রমুখ। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব আমানুর রহমান খান রানা বলেন, আজ যে মানুষটির সন্মানে এখানে আমরা একত্রিত হয়েছি তিনি ছিলেন এদেশের একজন পরিচিত ও টাংগাইলের গণ মানুষের নেতা। শামসুর রহমান খান শাহজাহানের স্মৃতির প্রতি সন্মান জানিয়ে রানা আরও বলেন, তিনি শুধু একজন নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন এ দেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক,টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যূ সভাপতি। তিনি এই ঘাটাইলেরই সন্তান ছিলেন। তার কর্মময় জীবন সম্পর্কে আলোচনা করে শেষ করা যাবে না।আমি গর্বিত এমন একজন মানুষের উত্তরসূরি হতে পেরে। তিনি সারাটি জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে বঙ্গবন্ধুর সাথে জড়িত থেকে রাজনীতি করতেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেখানো পথে অবিচল থেকে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি আমার প্রিয় ঘাটাইলবাসি তথা টাঙ্গাইলের মানুষের জন্যে। আজ গর্বের সাথে বলতে পারি ঘাটাইলের মানুষই আমার মুল শক্তি,আপনজন।তারাই আমার অভিভাবক। তিনি আরও বলেন,আমার চাচা সংসদ সদস্য ছিলেন,আমার বাবা বর্তমান সংসদ সদস্য।আমি নিজেও দুইবার সংসদ সদস্য ছিলাম।আমার পূর্বপুরুষগণ আজীবন আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে সেবা করেছেন।আমি তাদের পথ অনুষরন করছি মাত্র। ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আপনাদের সেবা করতে করতেই মরতে চাই।